অনুষ্ঠানের মঞ্চে জুনিয়র নেহা কক্করের গান শুনে মুগ্ধ সকল দর্শক, তুমুল ভাইরাল ভিডিও
চাঁদমনি হেমব্রম সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন বেশ পরিচিত মুখ। তাকে চেনে না এরকম মানুষের সংখ্যা এখন বেশ কম নেট মাধ্যমে। আদিবাসী পরিবারের মেয়ে চাঁদমণি হুগলি জেলার ইটচুনা গ্রামের বাসিন্দা সে। লকডাউন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন প্রতিভা উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ার পর্দায়। সেরকমই চাঁদমনি তার গানের সুমধুর কন্ঠে মাতিয়ে দিয়েছেন নেট দুনিয়া এবং উঠে এসেছেন খবরের শিরোনামে।
অভাবের সংসারে বাবাকে হারিয়ে মার সাথে হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করছিল সে। স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছানোর কোনরকম সুবিধাজনক অবস্থায় ছিলেন না তিনি। তাঁর অভাব-অনটনই বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার স্বপ্নের কিন্তু এত অভাব এর মাঝেও সে তার প্রতিভাকে হারিয়ে যেতে দেয়নি কোনরকম ভাবেই। গুরুর সহায়তা ছাড়াই প্রথাগত শিক্ষা না নিয়েই গান ভালোবেসে গান করেছেন তিনি। স্কুলেরই এক শিক্ষক পায় তার এই প্রতিভার সন্ধান এবং ক্যামেরাবন্দী করেন তার সুরেলা কণ্ঠ,পৌঁছে দেয় সেই বিরাট প্লাটফর্মে যেখান থেকে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে পৌঁছে যায় চাঁদমনির গান।
রানু মন্ডল এর মতন আর একজন ছোট্ট মেয়ে তার গানের মাধ্যমে সকলের মন জয় করে নিয়েছেন।চাঁদমনির অসাধারণ গান শুনে তাকে জুনিয়ার নেহা কক্করের তকমাও লাগিয়েছে নেটিজেনরা।চাঁদমনি তার অসাধারণ গানের গলা পৌঁছে গেছে গোটা বিশ্বের দরবারে। অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে তার শিক্ষক মহাশয় তার কাছে পৌঁছে গেছেন ভগবানের মতো। সম্প্রতি গ্রামের একটি উৎসবের মঞ্চে চাঁদমণি গান গাইছেন, ‘ভালোবাসি যে তোমায়’। তার এই গানটি সকলের বেশ মনে ধরেছে। সকলেই পছন্দ করেছে তার এই গানটি।
বর্তমনাও তার পরিচিত মাত্রা অন্য জায়গায় পৌঁছে গেছে। এত নাম পরিচিতির হওয়া সত্ত্বেও চাঁদমণি তার নিজ ভিটেমাটিকে ছাড়তে পারেনি। সাজগোজে রয়েছে সাঁওতাল মেয়ের ছোঁয়া। খোঁপায় লাল ফুল দিয়ে একেবারে মাটির মেয়ে চাঁদ। তার এই ভিডিওটিতে বেশ লাইকও এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার সমস্ত সাইটেই ভিডিও শেয়ার হয়েছে। তুমুল ভাইরাল চাঁদমনির এই গান।