নিউজ

মুসলিম শিশুকে অন্নপ্রাশণ করালেন যোগী,করলেন কোলে নিয়ে আদর

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতোই শিশুদের প্রতি অন্তরঙ্গতা দেখা গেল উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মধ্যে। নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র গোরক্ষপুরে এক অনুষ্ঠানে এক মুসলিম শিশুকে কোলে তুলে নিয়ে খাওয়ানোর ঘটনায় ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন যোগী।

গোরক্ষপুরে যোগীর সফর

রবিবার দু’দিনের সফরে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র গোরক্ষপুরে গিয়েছিলেন যোগী। রাপ্তিনগরে শিশুদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে আসা শিশুদের মাঝে মিশে যেতে দেখা গেল তাঁকে। নিজের হাতে শিশুদের খাবার দিতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই সঙ্গে তাদের শারীরিক অবস্থা সম্বন্ধে নিলেন খোঁজ।

মুসলিম শিশুকে কোলে তুলে নিলেন যোগী

রাপ্তিনগরের শিশুদের অনুষ্ঠানে এক মুসলিম মহিলা হাজির হয়েছিলেন তাঁর কোলের শিশুকে নিয়ে। তা দেখে মহিলার কাছে এগিয়ে আসেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। শিশুটিকে আদর করে নিজের কোলে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। আদর করার পাশাপাশি শিশুটিকে খাইয়ে দিয়েছিলেন।

শিশুটির মায়ের আবেগ

মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক মুখ দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন শিশুটির মা। তাঁর দুই চোখে বেয়ে গড়িয়ে পড়ে আনন্দের অশ্রু। যোগীর শিশুসুলভ ভালোবাসা দেখে অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্যরা অভিভূত হয়ে পড়েছিলেন। সবার মুখে সেই সময় ফুটে উঠেছিল হাসি।

শিশুটির মায়ের প্রতিক্রিয়া

শিশুদের প্রতি যোগীর ভালোবাসা দেখে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ছিলেন মুসলিম মহিলা। তাঁর সন্তানের মুখে মুখ্যমন্ত্রী খাওয়ার তুলে দিয়েছেন, এটা তাঁর পরম সৌভাগ্যের বলে সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন। যোগীর আশীর্বাদ, তাঁর সন্তানের কাছে অত্যন্ত সম্মানের বিষয় বলে মনে করছেন। এই ঘটনা জীবনে তিনি ভুলবেন না বলে জানিয়েছেন ওই মুসলিম মহিলা।

যোগীর রাজনৈতিক লক্ষ্য

চলতি বছরেই লোকসভা ভোট। এখন থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের জনসংযোগে নেমে পড়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেঁধে দিয়েছেন ৪০০ আসনের টার্গেট। সেই উপলক্ষ্যে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে যোগীর সফর বলে মনে করা হচ্ছে। শিশুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক সভা করেছেন যোগী।

বিরোধীদের কটাক্ষ

যোগীর মুসলিম শিশু প্রতি ভালোবাসা নিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে করা হয়েছে কটাক্ষ। হিন্দু ভোট নিয়ে সমস্যা না থাকলেও, মুসলিমদের আস্থা এখনও অর্জন করতে পারেনি বিজেপি। উত্তর প্রদেশ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে মুসলিম ভোট ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতির বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই যোগীর এই মুসলিম প্রীতি বলেও কটাক্ষ বিরোধীদের।

যোগীর এই ঘটনাটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও সহানুভূতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই। তবে বিরোধীদের কটাক্ষের বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিত। বিজেপি যদি মুসলিমদের আস্থা অর্জন করতে চায়, তাহলে তাদেরকে শুধুমাত্র নির্বাচনী প্রচারণার সময় নয়, সারাবছরই মুসলিমদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে।

Back to top button