নিউজদেশ

প্রবল বেগে ছুটে আসছে ‘ইয়াস’, সাইক্লোন মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী করলেন বড় ঘোষণা

প্রত্যেক বছর বাংলায় আছড়ে পড়ছে নানারকম ঝড়। কখনো আম্ফান, হুদহুদ, তিতলি, মেকুনু, ফণি তো কখনো ইয়াস। আর এই ঘূর্ণিঝড় বাংলায় আছড়ে পড়া নিয়ে আতঙ্কিত বাংলার মানুষজন। আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন, মুখ্যমন্ত্রী জানান রাজ্যের তরফ থেকে কি কি বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।

দুর্ঘটনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নবান্নে বললেন, নিজে বাঁচলে সংসার বাঁচবে। তাই, মৎস্যজীবীদের কাছে অনুরোধ এই মুহূর্তে নিরাপদ স্থানে থাকুন। মমতা ব্যানার্জির কথায় এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ২০ টি জেলা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আগামীকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টা ক্রমাগত মনিটরিং করবে।৫১ টি রেসকিউ টিম রেডি আছে। ইতিমধ্যেই ৪ হাজার ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম সবসময় কাজ করবে।পাশাপাশি সাংবাদিক বন্ধুদের উদ্যেশ্যে বলেন যে তাদের জন্যও কাজ করবেন তিনি। এছাড়াও, বিদ্যুৎ বিপর্জয় মোকাবিলায় এক হাজারটি দল প্রস্তুত আছে। এখানেই শেষ নয় যেকোনো বিপদে পুলিশকে তৎপর থাকতে বলেছেন তিনি।

পাশাপাশি মৌসম ভবনের সূত্রের খবর,’কলকাতায় ঝড়ের বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ কিমি। এছাড়াও সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি বেগে। বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্য উপকূলে শক্তি বৃদ্ধি করছে এই ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ইতিমধ্যে মৎস্যজীবীদের সরিয়ে আনা হয়েছে, যারা উপকূলবর্তী এলাকায় থাকেন তাদের জন্য রয়েছে কড়া হুঁশিয়ারি। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ হবে উত্তর এবং উত্তরপশ্চিম অভিমুখে এবং ২৬ মে সন্ধ্যেবেলা পারাদ্বীপ এবং সাগরদ্বীপ উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

বর্তমান ভারতের ‘সাইক্লোন ম্যান’ নামে যিনি পরিচিত তিনি হলেন মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। তিনি বুঝতে পারেন আবহাওয়ার নানারকম পরিবর্তন। তার এই কীর্তিত্বের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বর্তমানের উন্নত প্রযুক্তিকে। আবহাওয়া সূত্রের খবর, ২৪ তারিখ থেকে হালকা ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫ তারিখ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা। ২৬ তারিখ বৃষ্টির গতিবেগ বাড়বে। এছাড়াও সূত্রের খবর, দীঘা থেকে ৬১০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়।তবে, আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে শক্তিশালী হবে এই ঘূর্ণিঝড়।

Back to top button