নিউজ

WBCS: ছাত্র পড়িয়ে যোগাতেন কোচিংয়ের ফি! অভাবকে সঙ্গী করেই WBCS-এ সাফল্য পেলেন রকি

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের রকি চন্দ্র দাস WBCS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জয়েন্ট বিডিও পদে যোগ দিতে চলেছেন। তার অভাবী পরিবারের জন্য এটা এক বড় সাফল্য।

রকির বাবা একজন হোটেল কর্মচারী এবং মা একজন অঙ্গনওয়াড়ি সহায়িকা। তারা তাদের ছেলেকে পড়াশুনা করাতে খুব কষ্ট করেছেন। রকি তুলসীহাটা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক ও ২০১৪ সালে লেটার মার্ক নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর মুর্শিদাবাদ কৃষ্ণনাথ কলেজে ইংরেজি অনার্স নিয়ে ভর্তি হন। ২০১৭ সালে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে স্নাতক পাশ করেন।

রকি WBCS পরীক্ষার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে বহরমপুর মেসে থেকে পড়াশুনা করতেন। তার কাছে তেমন কোচিং নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না। মুর্শিদাবাদ জেলা স্তরের প্রশাসনিক কিছু আধিকারিকগণের সহায়তায় মুর্শিদাবাদ জেলা গ্রন্থাগারে দেড় বছর ধরে অবৈতনিক ভাবে WBCS পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন তিনি। যেটুকু কোচিং নিয়েছেন, তার জন্য খরচ যোগাতে সকাল বিকেল ছাত্র পড়িয়েছেন রকি।

রকির বাবা পরাণ চন্দ্র দাস বলেন, “আমরা খুবই গর্বিত। আমাদের ছেলে খুব কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমরা তার জন্য সবসময়ই পাশে ছিলাম।”

রকি বলেন, “আমি খুবই খুশি। আমি আমার পরিবারের জন্য এই সাফল্য অর্জন করতে পেরে খুবই গর্বিত। আমি আমার বাবা-মাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আমাকে সবসময়ই সমর্থন করেছেন।”

রকির সাফল্য তার পরিবার এবং এলাকাবাসীর জন্য অনুপ্রেরণা। এটা দেখায় যে কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় দিয়ে যেকোনো কিছুই সম্ভব।

Back to top button