কিছুদিন আগে শহরের রাস্তায় মাঞ্জা শটের আরেকটি ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে। একজন Zomato ডেলিভারি ম্যান গ্রাহকের অর্ডারে পৌঁছাতে এবং সময়মতো খাবার ডেলিভারি করতে তার বাইকটি উচ্চ গতিতে চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন। চিনা মাঞ্জা সুতোটি লক্ষ্য না করে চালাচ্ছিলেন এবং সুতোটি তার গলায় আটকে গেল। গলা সুতো দিয়ে মোড়ানো। যন্ত্রণায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান ওই যুবক। দুর্ঘটনাটি বেলঘড়িয়া হাইওয়েতে ঘটেছিল এবং দুর্ঘটনার সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ অফিসার এবং সিভিক ভলান্টিয়ার এই জায়গার কাছে ডিউটিতে ছিলেন। বাইক অ্যাক্সিডেন্টের তীব্র শব্দে তাঁরা ছুটে আসেন এবং সাংঘাতিক আহত ওই যুবককে উদ্ধার করেন এবং গুরুতর আহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সম্প্রতি শহরের রাস্তায় মান্য সুতোর সাথে আরেকটি ভয়ংকর ঘটনা ঘটেছে। সময়মতো গ্রাহকের অর্ডারে খাবার পৌঁছে দিতে উচ্চ গতিতে সাইকেল চালানোর সময় কুরিয়ার জোমাটো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। চায়না মান্য যখন রাস্তায় সুতো না দেখে সাইকেল চালায়, তখন সুতোটা গলায় আটকে যায়। গলা সুতো দিয়ে মোড়ানো। যুবক ব্যথা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে. ঘটনাটি ঘটেছে বেলগারিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে। দুর্ঘটনার সময় পুলিশ কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরা এই জায়গার কাছে কাজ করছিলেন। সাইকেল দুর্ঘটনার বিকট শব্দে তারা দ্রুত এগিয়ে এসে গুরুতর আহত এক যুবককে উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সাইকেল দুর্ঘটনায় পাসহ গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে এক যুবককে।
কর্মী হাসপাতালে ভর্তির কথা জানতে পেরে পুলিশের কাছে কাকুতি-মিনতি শুরু করেন। শরীরের ক্ষত থেকে ব্যথা ভুলে গিয়ে শুধু খাবার পৌঁছে দেওয়ার কথাই তাঁর তখন চিন্তা। হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসা কর্মী জানান, যন্ত্রণা সত্ত্বেও আহত যুবক পুলিশ কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের হাত-পা চেপে ধরে বারবার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ছেড়ে দিতে বলে। জানতে চাইলে ওই যুবক বলেন, ফুড অ্যাপ কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী সময়মতো ডেলিভারি না দিলে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হতে পারে। তিনি আরও বলেন, সময়সীমার পরে তিনি কমিশন পাবেন না। কিন্তু খাবার পৌঁছে দিতে পারলে চাকরি ধরে রাখতে কাকুতি-মিনতি করতে থাকেন ওই যুবক।
এ সময় আহত যুবক হাসপাতালের বিছানা থেকেও উঠতে পারেননি। কিন্তু উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা ওই যুবকের অবস্থা দেখে আঁতকে ওঠেন। তিনি যুবককে আশ্বস্ত করলেন, তার কাছ থেকে ঠিকানা নিয়ে নিলেন এবং খদ্দেরের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিলেন। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে ওই যুবককে বাড়িতে যান আসেন তিনি। আহত যুবককে বাঁচাতে পুলিশ সদস্যের উদারতা নেটিজেনদের হৃদয় ছুঁয়েছে। তবে আহত যুবকের মতোই পুলিশ সদস্যের পরিচয় জানা যায়নি।
