নিউজ

‘মা-বাবার সঙ্গে দেখা করা হলো না সাগরের’-বাড়ি ফেরার পথেই হলো মৃত্যু!

ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নগরকাটা ব্লকের চাবাগান ফুটবল লেনের বাসিন্দা সাগর কয়াল। তার বয়স 30 বছর

বেঙ্গালুরুতে একটি হোটেলে কাজ করতেন সাগর। ছুটিতে বাবা-মাকে দেখতে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় সাগরের মৃত্যু হয়। সাগরের আরও ১১ জন ছিল। তারা পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার নগরকাটা ব্লকের বাসিন্দা। সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন। সাগর হালিয়াহের মৃত্যুর খবরে গোটা অঞ্চলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

সাগর হালিয়ার দাদা মনোজ হালিয়া জানান, জলপাইগুড়ি জেলার নগরকাটা চা বাগানের দশ থেকে বারো জন যুবক পাঁচ মাস আগে ব্যবসায়িক কারণে বেঙ্গালুরু গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তার ভাই সাগরও ছিল। সাগর সাহেব সেখানে হোটেলে কাজ করতেন। গতকাল বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়ায় ফিরেছেন তাঁরা। একই সময়ে ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনায় সাগরের মৃত্যু হয় কিন্তু কিভাবে লাশ ফেরত পাওয়া যায় তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় সাগরের পরিবার।

ত্রিনামোর নগরকাটা ব্লকের সভাপতি সঞ্জয় কোজুলু বলেন, “আমরা দশজন আহতকে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছি।” এবং আমরা ম্যানেজমেন্টের সাথে আলোচনা করছি কিভাবে আমরা মিস্টার সাগরের লাশ ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে পারি।

এদিকে,এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের ময়নাগুড়ির যুবক শৈলিন রায়ের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।

Back to top button