দেশনিউজ

করোনা ভাইরাস নিয়ে পাঁচটি ছড়িয়ে পরা গুজব, যেগুলো সত্যি মনে হলেও আসলে তা সত্যি নয়

ভারতে আনলক প্রক্রিয়া শুরু হবার পর থেকেই মানুষ ধীরে ধীরে সামাজিক সচেতনতার কথা ভুলে মুখে মাস্ক লাগানো ছাড়াই ঘুরে বেরিয়েছিলেন যেখানে -সেখানে। আর সেই লাগামহীন ব্যস্ত জীবনের মাসুল দিতে শুরু করেছে ভারতবাসী। ভারতের শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগমন প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণ।
কিন্তু এই সংক্রমণের মূল কারণ হিসেবে অনেকে করোনার নতুন স্ট্রেনের কথা বললেও বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছে মানুষের অসচেতনা ও গা ছাড়া মনোভাবের কারণেই ফের বেড়েছে করোনা।

সবথেকে বড় কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন গুজব। যা লেখা হয় এমন ভাবে যে আপনি পড়ে তা সত্যি বলেই ভেবে নেবেন। আর এভাবেই মানুষ হয়ে পড়ছে গুজবের শিকার। আর এই গুজব ছড়িয়ে এক শ্রেণীর মানুষ হয়তো মনে মনে মজা পেয়ে থাকে কিন্তু গুজবের ফাঁদে পা দিয়ে ফেঁসে যায় একাধিক মানুষ।

করোনা ভাইরাস নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে পাঁচটি গুজব সবথেকে বেশি শেয়ার হয়েছে সেগুলি হলো –
মশার কামড়ে করোনা ছড়াচ্ছে

করোনা যেহেতু সংক্রমণ জনিত রোগ তাই সংক্রমণ এড়াতে সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনে চলাই সবথেকে ভালো উপায়। কিন্তু মশার কামড়ের কারণে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার কোনও বৈষ্যনিক যুক্তি এখনো পাওয়া যায়নি। মশা শুধুম মাত্র ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মত রোগ জীবাণু বহন করতে পারে। তাই করোনা ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষমতা মশার নেই।

রোদে করোনাভাইরাস মারা যায়

রোডের গরমে বা প্রভাবে করোনা ভাইরাস মারা যায়। এই গুজব গত বছর খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বিশেষজ্ঞদের মতো টোটকা দিয়েছিলো যে প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে ছাদে বা উঠোনে বসে রড পোহালে করোনা সংক্রমণ হবেনা কারণ রোডের প্রভাবে শরীরে যদি ওই ভাইরাস থাকে তা ধ্বংস হয়ে যাবে। আবার অনেকে করোনা প্রতিরোধের উপায় হিসেবে বলেছিলেন প্রতিদিন গরম জলে স্নান করতে। তবে পরিশেষে জানা যায় যে বৈজ্ঞানিকরা এমন কোনো নিদান দেননি ও এইসব তৎকার কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তিযুক্ত তথ্য নেই।

শ্বাসরোধ করে থাকতে পারছেন মানেই করোনা নয়
সোশ্যাল মিডিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এই গুজব। অনেকেই এই গুজবের শিকার হয়ে বাড়িতে চেষ্টার করেছেন এই নিদান। অনেকেই নিজের শ্বাস ১০ সেকন্ডের জন্য আটকে রাখতে পারছেন কিনা সেই পরীক্ষা করেছেন একাধিকবার। তবে এই ধারণা ভুল কারণ এর সাথে বৈজ্ঞানিক কোনও যুক্তি নেই।

অল্প বয়সীদের মধ্যে করোনা কোনও গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে না
করণের প্রথম পর্যায়ে শিশুরা যেহেতু আক্রান্ত কম হয়েছে তাই সেই তাহাও কে কাজে লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে ছোটদের করোনা সংক্রমণ সেভাবে হয়না। তবে সেই গুজব কোনো কাজে আসেনি বৈজ্ঞানিকরা বার বার বলেছেন যে বড় দের পাশাপাশি ছোটদের জন্য করোনা একটি মারাত্বক রিস্ক ফ্যাক্টর। এমনকি ছোটদের অবস্থায় দ্বিতীয় পর্যায়ে বেশ জটিল হয়ে পড়ছে।

নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক করোনা রুখবে
করোনার একটি ভয়ানায়ক উপসর্গ হলো শ্বাসকষ্ট। আর এই শ্বাসকষ্ট দেখা যায় কেউ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে। তাই অনেকেই এই গুজবে কান দিয়ে ভেবেছিলেন যে নিউমোনিয়ার ওষুধ খেলে তারা হারাতে পারবেন করোনা ভাইরাসকে। তবে এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল কারণ নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক এই মারাত্বক ভাইরাসকে মারতে পারেনা।

Back to top button