নিউজ

‘মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আসছেন”-ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের রক্ত দিতে শত শত মানুষের ভিড়

ওড়িশায় ঘটে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ১ হাজারেরও বেশি লোক। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ওড়িশার বালেশ্বর জেলায় দু’টি যাত্রীবাহী ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এএনআই শনিবার (৩ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই অনেকে রক্ত দানে ছুটে আসেন।

উড়িষ্যার প্রমুখ্যমন্ত্রী প্রদীপ জেনা সাধারণ মানুষের এগিয়ে আসার সম্পর্কে বলেছেন, ‘মানুষ স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আসছেন। আমি অনেকের কাছ থেকে অনুরোধ পাচ্ছি, এটি ভালো। দুর্ঘটনার পরই স্থানীয়রা উদ্ধারকাজে আমাদের অনেক সহায়তা করেছেন।’

স্বতঃস্ফূর্তভাবে রক্ত ​​দিতে আসা লোকজন সম্পর্কে ডক্টর রবি দিয়োরা: টুইটারে লিখেছেন, ‘এজন্যই ভারত বসবাসের জন্য অন্যতম সেরা একটি দেশ। সংস্কৃতি, নীতি এবং সহায়তার মনোভাব ভারতীয়দের রক্তে আছে। যারা রক্ত দেওয়ার জন্য লাইন ধরেছেন তাদের সবার জন্য অনেক গর্বিত।’

একজন পবন মালহোত্রা লিখেছেন, “‘বালেশ্বরের মানুষের জন্য গর্বিত এমন সংকটময় সময়ে তাদের নিঃস্বার্থতা ও সহানুভূতির জন্য। ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর রক্তদাতাদের দীর্ঘ সারি আমার মনকে ভরিয়ে দিয়েছে। আপনাদের এই রক্তদান জীবন বাঁচাবে এবং যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করবে।’

এদিকে শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে ওড়িশা রাজ্যের বালেশ্বর জেলার বাহঙ্গা বাজার এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানায়, শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল কারামণ্ডল এক্সপ্রেস, বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস এবং একটি মালবাহী ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ে।

কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি।

সূত্র: এএনআই

Back to top button