নিউজ

‘সেঙ্গল’ অর্থাৎ ‘রাজদন্ড’-র ইতিহাস ও তা ঘিরে তৈরী বিতর্ক, জেনেনিন বিস্তারিত তথ্য

কেন্দ্রীয় শাসক দল বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ব্রিটিশরা ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক হিসেবে ‘সেঙ্গল’ বা ‘রাজদন্ড’ তুলে দিয়েছিল ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর হাতে।

ভারতের প্রাচীন চল সাম্রাজ্যের রীতি অনুযায়ী রাজা গোপালাচারীর অনুপস্থিতিতে লর্ড মাউন্ট ব্যাটেন ১৯৪৭ সালের ১৪ অগাস্ট এই স্বারক হস্তান্তর করেছিলেন বলে দাবি করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

যদিও কংগ্রেস এই বিতর্কিত দাবি প্রসঙ্গে জানিয়েছে ‘সেঙ্গল ‘ নিয়ে ইতিহাসে প্রামাণ্য কোনো নথি নেই।

প্রসঙ্গত, নতুন ইতিহাসের সাক্ষী ভারত। ভারতের নতুন সংসদ ভবনের জমকালো উদ্বোধন হলো আজ।উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নতুন সংসদ ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল 2020 সাল থেকে। মাত্র ৩ বছরেই ভবনটি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। শুধু সম্পন্নণই নয় আজ তা পূর্ণ রূপে পেলো পূর্ণতা। আরও এই বহুল চর্চিত সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে প্রাথমিক ভাবে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৮৬২ কোটি টাকা।

এরপর ২০২১ সালে দ্বিতীয় পর্বে এর বোর্ড বাড়িয়ে কেন্দ্র সরকার করে ৯৭১ কোটি টাকা। ফের ২০২২ সালে সেন্ট্রাল বিস্তার বাজেট বৃদ্ধি পেয়ে হয় ১২৫০ কোটি টাকা। আর এই ভবন নির্মাণে এতো অর্থ ব্যয় নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধী শিবির।

এই নতুন সংসদ ভবনটি শুধুমাত্র এর আকারের জন্য নয়, এর স্থাপত্য ও কারুকার্যের জন্যও মনোযোগ আকর্ষণ করে।

ভিতরের প্রতিটি আইটেম দেশের একটি বিশেষ স্থান থেকে আনা হয়েছিল। কার্পেট উত্তরপ্রদেশের বিখ্যাত মির্জাপুর থেকে এসেছে।

মেঝের জন্য বাঁশ আসে ত্রিপুরা থেকে। আর পাথরগুলো আনা হয়েছিল রাজস্থানের পাথর শিল্পের ‘রাজধানী’ থেকে। বলা যায়, নতুন সংসদ ভবন ভারতের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির ধারক-বাহক হয়ে উঠবে।

নতুন সংসদ ভবনের চেয়ার থেকে টেবিল পর্যন্ত সব আসবাবপত্র সেগুন কাঠের তৈরি। মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে আনা হয়েছে।

পুরো ভবন জুড়ে লাল এবং সাদা পাথরের কাজ রাজস্থানের সারমাথুরা অঞ্চল থেকে উত্তোলিত বেলেপাথর দিয়ে তৈরি।

এই গল্প অনুসারে, দিল্লির লাল কেল্লা এবং হুমায়ুনের সমাধিতে ব্যবহৃত বেলেপাথরও রাজস্থানের সরমাথুরা থেকে আনা হয়েছিল।

আবার সংসদ ভবন নির্মাণে ব্যবহৃত সবুজ পাথর এসেছে রাজস্থানের উদয়পুর থেকে আর লাল গ্রানাইট এসেছে আজমিরের লাখী থেকে।

Back to top button