নিউজ

Chandrayaan-3: শুক্রবার আরও কঠিন পরীক্ষার মুখে চন্দ্রযান, জেনেনিন ‘ডিবুস্টিং’ কৌশল কী?

চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার মডিউলটি শুক্রবার বিকেল ৪টেয় একটি জটিল ‘ডিবুস্টিং’ কৌশলের মধ্যে দিয়ে যাবে। এই অপারেশনটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের জন্য মহাকাশযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতির অংশ।

ডিবুস্টিং হল একটি প্রক্রিয়া যা মহাকাশযানের গতি কমিয়ে এটিকে স্থিতিশীল কক্ষপথে নিয়ে যায়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কারণ এটি ল্যান্ডার মডিউলটিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে সঠিকভাবে অবতরণ করতে সাহায্য করবে।

ডিবুস্টিং অপারেশনটি বেশ কয়েকটি ধাপের মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হবে। প্রথমে, ল্যান্ডার মডিউলটিকে চাঁদের ‘অ্যাপোলুন’ কক্ষপথ থেকে ‘পেরিলুন’ কক্ষপথে নিয়ে আসা হবে। অ্যাপোলুন কক্ষপথটি চাঁদের সবচেয়ে দূরের কক্ষপথ, যেখানে ল্যান্ডার মডিউলটি চাঁদের চারপাশে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ঘুরবে। পেরিলুন কক্ষপথটি চাঁদের সবচেয়ে কাছের কক্ষপথ, যেখানে ল্যান্ডার মডিউলটি চাঁদের চারপাশে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে ঘুরবে।

একবার ল্যান্ডার মডিউলটি পেরিলুন কক্ষপথে পৌঁছে গেলে, এটিকে ধীরে ধীরে চাঁদের পৃষ্ঠের দিকে নামানো হবে। এই প্রক্রিয়াটি ল্যান্ডার মডিউলের থ্রাস্টার ব্যবহার করে সম্পন্ন হবে। ল্যান্ডার মডিউলটি চাঁদের পৃষ্ঠে প্রায় ২ মিটার প্রতি সেকেন্ডের গতিতে অবতরণ করবে।

ল্যান্ডার মডিউলটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার পর, এটি চাঁদের পৃষ্ঠের উপরে একটি পরীক্ষামূলক স্টেশন স্থাপন করবে। এই পরীক্ষামূলক স্টেশনটি চন্দ্রপৃষ্ঠের ভূতাত্ত্বিক গঠন, খনিজ সম্পদ এবং বায়ুমণ্ডল অধ্যয়ন করার জন্য ব্যবহার করা হবে।

চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের ল্যান্ডার মডিউলটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ভারতকে চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি পরীক্ষামূলক স্টেশন স্থাপনের সুযোগ দেবে, যা চন্দ্রপৃষ্ঠের অধ্যয়নকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

এখানে চন্দ্রযান-৩ ল্যান্ডার মডিউলের ডিবুস্টিং অপারেশন সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য দেওয়া হল:

অপারেশনটি শুক্রবার বিকেল ৪টেয় শুরু হবে এবং প্রায় ২০ মিনিট স্থায়ী হবে।
অপারেশনটি চন্দ্রযান-৩ মহাকাশযানের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পরিচালিত হবে।
অপারেশনটি সফল হলে, ল্যান্ডার মডিউলটি চাঁদের পৃষ্ঠে প্রায় ২ মিটার প্রতি সেকেন্ডের গতিতে অবতরণ করবে।
ল্যান্ডার মডিউলটি চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণ করার পর, এটি চাঁদের পৃষ্ঠের উপরে একটি পরীক্ষামূলক স্টেশন স্থাপন করবে।

Back to top button