নিউজ

Chandrayaan-3 : চাঁদে এবার দিনের শুরু, ঘুমের মধ্যে চন্দ্রযান ৩-এর মৃত্যু হলে কী করবে ISRO?

চন্দ্রযান-৩-এর দুই সপ্তাহের ছুটি শেষ হয়েছে। ল্যান্ডার বিক্রম ও রোভার প্রজ্ঞান এবার জেগে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে। তবে আবার তারা জাগবে কিনা সে প্রশ্নের উত্তর এখনও জানা নেই।

২ সেপ্টেম্বর ইসরো জানায়, ল্যান্ডার বিক্রমকে সঠিক ভাবে পার্ক করা হয়েছে। রোভার প্রজ্ঞানকে আগেই স্লিপ মোডে পাঠানো হয়। তার ভিতরে থাকা বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতিগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ঘুমোতে যাওয়ার শেষ লগ্নে ‘হপ পরীক্ষায়’ অংশ নেয় ল্যান্ডার।

ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, ফুল চার্জ অবস্থায় ল্য়ান্ডার ও রোভারকে ঘুম পাড়ানো হয়। লেখা হয়েছে, “২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার চাঁদের দক্ষিণ পৃষ্ঠে ফের সূর্যের আলো পড়ার কথা। সূর্যের আলো পড়লে ফের নড়েচড়ে উঠতে পারে ল্য়ান্ডার ও রোভার। ৬ থেকে ৯ ডিগ্রি কোণে সূর্যের আলো বিক্রমকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য যথেষ্ট শক্তি সরবরাহ করার ক্ষমতা রাখে।

২২ সেপ্টেম্বর যদি আর জেগে না ওঠে চন্দ্রযান-৩ তবে চিরতরে চাঁদের বুকে রয়ে যাবে ভারতের দূত হিসেবে।

ইসরোর তরফে এও জানানো হয়েছে, হপ এক্সপেরিমেন্টের পর ল্যান্ডার বিক্রম প্রত্যাশার থেকে বেশি কাজ করেছে। জানানো হয়েছে, ভারতের তৃতীয় চন্দ্রাভিযান তথা চন্দ্রযান-৩ মিশন পুরোপুরি সফল। চাঁদের বুকে সফল ভাবে সফট ল্য়ান্ড করে সক্ষম হয়। রোভারটি চাঁদের বুকে ঘুরে ফিরে বেরিয়ে একাধিক বৈজ্ঞানিক তথ্য সংগ্রহ করেছে।

২৩ অগাস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুর যে অংশে ভারতের চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করে সেটির নাম রাখা হয় শিবশক্তি পয়েন্ট। বর্তমানে সেই শিবশক্তি পয়েন্টই ঠিকানা চন্দ্রযান-৩-এর। চার বছর আগে সব ব্যর্থতাকে ভুলিয়ে দিয়ে এবার সাফল্য়ের মুখ দেখেছে চন্দ্রযান-৩। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চিন, রাশিয়া পর চাঁদের বুকে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করানোয় চার নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে ভারত।

ল্যান্ডার ও রোভারের সম্ভাব্য পরিণতি

২২ সেপ্টেম্বর যদি চন্দ্রযান-৩ জেগে না ওঠে, তাহলে ল্যান্ডার ও রোভারের সম্ভাব্য পরিণতি নিম্নরূপ হতে পারে:

ল্যান্ডার বিক্রম: সূর্যের আলোর অভাবে ল্যান্ডার বিক্রম ধীরে ধীরে তার ব্যাটারি চার্জ হারাবে। একসময় ব্যাটারি সম্পূর্ণরূপে ফাঁকা হয়ে গেলে ল্যান্ডার বন্ধ হয়ে যাবে এবং চাঁদের বুকে চিরতরে অচল হয়ে পড়বে।

রোভার প্রজ্ঞান: রোভার প্রজ্ঞানের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। রোভারের ব্যাটারি ল্যান্ডারের চেয়ে বেশি স্থায়ী। তাই রোভার প্রজ্ঞান আরও কিছুদিন চাঁদের বুকে সক্রিয় থাকতে পারে। তবে একসময় রোভারের ব্যাটারিও ফাঁকা হয়ে যাবে এবং সেটিও অচল হয়ে পড়বে।

চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য

চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্য ভারতের মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে একটি বড় মাইলফলক। এই সাফল্যের ফলে ভারত চাঁদের বুকে সফট ল্য়ান্ডার অবতরণের মতো একটি জটিল কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে। এই সাফল্যের মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণা ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী খেলোয়াড় হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

Back to top button