BigNews: জাল সার্টিফিকেটে ডাক্তারি! বোর্ডের কাছে তালিকা তলব করলো হাইকোর্ট
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা সাত দিনের মধ্যে ডাক্তারিতে ভুয়া জাতিগত শংসাপত্রের অভিযোগে তদন্ত করবেন। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় যে কেউ ভুয়া শংসাপত্র দিয়েছেন, তাহলে তাদের জন্য সংরক্ষিত আসন বাতিল করা হবে এবং আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপালদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, যাদের নাম মামলায় এসেছে, তাদের জাতিগত শংসাপত্র জমা নিতে হবে।
মামলাকারীর অভিযোগ, অনেক পরীক্ষার্থী তফসিলি জাতিভুক্ত নন। তাঁরা ভুয়া জাতিগত শংসাপত্র পেশ করে অনেক প্রার্থীর সুযোগ কেড়েছেন।
বিচারপতির বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রে পদবি শুনে বলা কঠিন। যদি দেখা যায়, ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে অনেকে সুবিধা নিয়েছেন, তাহলে তাদের আসন ফাঁকা হবে। তবে কাউন্সেলিং থেমে থাকবে না। অক্টোবরে এমবিবিএস কোর্সে নতুনদের ক্লাস শুরু।
তার আগেই সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তাকে ভুয়োদের চিহ্নিত করে নাম-ঠিকানা জমা দিতে হবে। তাঁদের পরবর্তীতে মামলায় যুক্ত করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। ৩ অক্টোবর হবে পরবর্তী শুনানি।
মামলার বিবরণ
চলতি বছরে ডাক্তারির সর্বভারতীয় এন্ট্রান্স ‘নিট’-এ অংশ নেন দুর্গাপুরের ইতিশা সোরেন। মেধাতালিকায় তাঁর র্যাঙ্ক ছিল ২৮,৩১৯। দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর বজবজ জগন্নাথ গুপ্ত মেডিক্যাল সায়েন্স এবং হাসপাতালে তিনি সুযোগ পান।
মামলাকারীর অভিযোগ, ইতিশা সোরেন ভুয়া জাতিগত শংসাপত্র পেশ করে সুযোগ পেয়েছেন। তিনি তফসিলি জাতিভুক্ত নন।
মামলায় রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা, বজবজ জগন্নাথ গুপ্ত মেডিক্যাল সায়েন্স এবং হাসপাতাল এবং ইতিশা সোরেনকে বিবাদী করা হয়েছে।