নিউজ

Train Accident: ২০০ জীবন বাঁচিয়ে বাহানাগার “সুপারম্যান” ৭৩ বছরের ওঙ্কারনাথ, সকলে করছে প্রশংসা

টানা তিন দিন চোখের পাতা বন্ধ করেননি। যখন চশমা খুলে ফেলেন, লক্ষ্য করলে দেখা যাবে তার চোখ এখনো লাল। ছিন্নভিন্ন ট্রেনের কামরার কিছু টুকরো তার উঠানের কাছে পড়েছিল। ট্রেন উল্টে যাওয়ার দৃশ্য সরাসরি দেখেছেন তিনি। ভাঙ্গা জানালা থেকে ঝুলন্ত রক্তাক্ত কাপড়ের দিকে তাকিয়েই কতবার হৃদয় কে নাড়া দিয়েছে তা সে গণনা করতে পারেনি। মৃত তীর্থযাত্রীদের আর্তনাদ এখনো কানে বাজে। ওঙ্কারনাথ পন্ডার এখনো কিছু খেতে চাইলে মন খারাপ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার তিন দিন হয়ে গেছে, কিন্তু তিনি এখনও একটি কামড় খেতে পারছেন না।

শুক্রবার, ৭৩ বছর বয়সী লোকটি সন্ধ্যায় হাঁটতে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনার পর তিনি ইলেকট্রিক কাটার ও হাতুড়ি নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ধসে পড়া চত্বর থেকে দুই শতাধিক মানুষকে জীবিত উদ্ধার করেন। ওঙ্কারনাথের পরিবারও উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। 73 বছর বয়সী এই মানুষটি এখন বাহানগরে সুপারম্যানের মর্যাদা পাচ্ছেন।

তার বাড়ি থেকে রেল লাইনের দূরত্ব মাত্র ৫০ মিটার।তার বাড়ির পেছনে প্রধানমন্ত্রী নেমেছিলেন। সেদিনের ঘটনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, রিং রুটে মালবাহী ট্রেন ছিল। হঠাৎ দেখলাম করমণ্ডল এসে খেলনার মত ঘুরছে। বজ্রপাতের মত শব্দ। কান বন্ধ ছিল। আমি কোন সময় নষ্ট না করে প্রায় দ্রুত বাসায় চলে আসলাম। বড় ছেলে বাড়িতে গ্রিলের কারখানা চালায়। সেখান থেকে বৈদ্যুতিক কাটার ও হাতুড়ি নিয়ে উদ্ধার কাজে নেমে গেলাম। তবে বিদ্যুতের অভাবে কাটার ব্যবহার করা যাচ্ছিল না । আমরা একটি হাতুড়ি দিয়ে কামরার অংশ ভেঙে ভেঙে আহতদের উদ্ধার করতে শুরু করি।

Back to top button