নিউজ

প্রধানমন্ত্রী ঘুমোবেন মাটিতে! রামমন্দির উদ্বোধনের আগে কঠোর কৃচ্ছসাধন মোদীর

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধন হবে রাম মন্দির। ওই দিনই রাজসূয় যজ্ঞের আয়োজন করা হবে, যেখানে ভগবান রামলালাকে তাঁর সিংহাসনের উপবিষ্ট করা হবে।

এই অনুষ্ঠানের মূল ভূমিকা পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি ইতিমধ্যেই ১১ দিনের বিশেষ রীতি-নিয়ম পালন শুরু করেছেন। দেশবাসীর উদ্দেশে বিশেষ অডিও বার্তাও দিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ১২১ জন ব্রাহ্মণ। তারাও কঠোর আচারবিধি পালন করবেন।

তীর্থক্ষেত্রের পুরোহিত পণ্ডিত দুর্গা প্রসাদ জানিয়েছেন, আচার বিধি পালন মোটেও মুখের কথা নয়। বিষয়টি কৃচ্ছসাধনের। যিনি অনুষ্ঠানে মূল ভূমিকা গ্রহণ করেন তাঁকে ব্রহ্মচর্য পালন করতে হয়।

কঠোর এই নিয়মে খাওয়া-দাওয়া, ঘুম খুবই পরিসীমিত। নিয়মের কঠোর আবর্তনে গোটা বিষয়টি সম্পন্ন করতে হয়।

যারা ব্রহ্মচর্য পালন করেন তারা সুন্দর বিছানায় ঘুমোতে পারেন না। ঘুমানোর জন্য মাটিতে একটি কুশের আসন রাখা হয় যার উপর আচার পালনকারীরা ঘুমোন। ২৪ ঘণ্টায় মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ঘুমানোর সময়।

যারা ব্রহ্মচর্য পালন করেন তাদের সাত্ত্বিক আহার গ্রহণ করতে হবে। কোনও আমিষ খাবার পেতে পারবেন না তারা। এক্ষেত্রে কন্দযুক্ত সবজি খেতে পারেন তারা। ব্রহ্মচর্য পালনের সময় সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার খেতে হয় তাদের। এটি আচারের অন্যতম অংশ।

সকালে ব্রহ্মমুহুর্তে যজমান ও পণ্ডিত উভয়কেই ঘুম থেকে উঠে স্নান করতে হবে। এরপর যজমান ও পণ্ডিত একত্রে ব্রহ্মচর্য পালনের শপথ গ্রহণ করবেন। এরপরই শুরু হবে আচারবিধি পালন।

রাজসূয় যজ্ঞের দিন রামলালার মূর্তিকে সিংহাসনে স্থাপন করা হবে। এরপর রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত থাকবেন।

রাম মন্দির উদ্বোধন ভারতের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এই অনুষ্ঠানটি সারা বিশ্বের হিন্দুদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Back to top button