নিউজ

“সংবিধানের মুখবন্ধ থেকে উধাও ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ ও ‘সমাজতান্ত্রিক’!-চাঞ্চল্যকর দাবি অধীরঞ্জনের

নতুন সংসদ ভবনে প্রবেশের সময় সাংসদদের যে সংবিধান দেওয়া হয়েছে, তার প্রস্তাবনায় ‘সমাজতান্ত্রিক’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ শব্দ দু’টি বাদ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে হইচই পড়ে গিয়েছে। কংগ্রেস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে এবং অভিযোগ করেছে যে সরকার সংবিধানকে বদলে ফেলতে চায়।

কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “নতুন সংসদ ভবনে আমরা যে সংবিধান হাতে নিয়ে প্রবেশ করেছি, তার মুখবন্ধে ধর্মনিরপেক্ষ এবং সমাজতান্ত্রিক শব্দ দু’টি নেই। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা জানি এই দু’টি শব্দ ১৯৭৬ সালে একটি সংশোধনীর পরে যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু, কেউ যদি আজ আমাদের সংবিধান দেয় এবং তাতে সেই শব্দগুলি না থাকে তবে এটি চিন্তার বিষয়। শাসক দলের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। সুকৌশলে বদলে ফেলা হয়েছে সংবিধানের মুখবন্ধ।”

অধীর চৌধুরী সংসদে এই বিষয়টি উত্থাপন করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সে সুযোগ পাননি।

বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, সরকার সংবিধানের মূল ভিত্তিগুলিকে ধ্বংস করতে চায়। তারা এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞ মতামত:

সংবিধানের মুখবন্ধ থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি বাদ দেওয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, এই ঘটনাটি সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন উঠিয়ে দিয়েছে।

আইনবিদ বিবেক সেন বলেছেন, “এই ঘটনাটি সরকারের গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠিয়ে দিয়েছে।”

অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, “এই ঘটনাটি ভারতের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”

উপসংহার:

নতুন সংসদ ভবনে সংবিধানের মুখবন্ধ থেকে ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ এবং ‘সমাজতান্ত্রিক’ শব্দ দু’টি বাদ দেওয়ার ঘটনাটি ভারতের রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই ঘটনাটি সরকারের উদ্দেশ্য সম্পর্কে প্রশ্ন উঠিয়ে দিয়েছে এবং ভারতের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদ্বেগ তৈরি করেছে।

Back to top button