নিউজ

মেয়েকে ফেলে নতুন জীবনে পা মা-বাবার, শিশু কন্যার দায়িত্ব নিচ্ছে ঠাকুরদা-ঠাকুমা

একটি দশ বছরের শিশুর জীবনে নেমে এসেছে বিষাদের ছায়া। তার মা-বাবা মিউচুয়াল ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু ডিভোর্সের আগেই তারা একটি চুক্তি করে তাদের মেয়ের দায়িত্ব দিয়েছে তার ঠাকুরদা-ঠাকুমাকে।

আইটি সেক্টরে কর্মরত নিউ বালিগঞ্জ এলাকার পরিবারের ছেলে গত ২০১২ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন কসবা বোসপুকুর রোডের বাসিন্দা এক তরুণীকে। ২০১৩ সালে তাঁদের কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু ততদিনে দাম্পত্যে লেগেছে অশান্তির আগুন। মা-বাবার অশান্তি যত বাড়তে থাকে, মেয়েও তত তাঁদের থেকে দূরে সরে ঠাকুরদা-ঠাকুমার কাছাকাছি চলে যেতে থাকে।

মা-বাবার ডিভোর্সের খবর শুনে মেয়েটি ভেঙে পড়েছে। সে তার ঠাকুরদা-ঠাকুমাকে বলছে, “আমি তো তোমাদের কাছেই থাকতে চাই।” কিন্তু বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তে তার কিছু করার নেই।

ঠাকুরদা-ঠাকুমা মেয়েটিকে তাদের আদরে আগলে নিতে চান। তারা বলছেন, “আমরা তাকে আমাদের সন্তানের মতোই মানুষ করব।”

বাবা-মায়ের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন

বাবা-মায়ের এই সিদ্ধান্তে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, “শিশুর কি কোনও অধিকার নেই? সে তার বাবা-মায়ের কাছে থাকতে চায় না কেন?”

একজন আইনজীবী বলছেন, “বাবা-মা যদি সন্তানকে নিজেদের আগামী জীবনে জড়াতে না চায়, সে ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু এতে শিশুর মানসিক ক্ষতি হবে।”

মেয়ের ভবিষ্যত

চুক্তি অনুযায়ী, মেয়ের দায়িত্ব এখন থেকে ঠাকুরদা-ঠাকুমাই পালন করবেন। বাবা-মা শুধুমাত্র অভিভাবক হিসেবে সরকারি কাজকর্মে সই করতে পারবেন। মেয়ের সঙ্গে মায়ের দেখা করার অধিকারও থাকবে, তবে তা নির্দিষ্ট সময়ে এবং নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে।

মেয়ের ভবিষ্যত কী হবে, তা এখনই বলা মুশকিল। তবে এটা নিশ্চিত যে, তার জীবনে এখন থেকে অনেক কিছুই বদলে যাবে।

Back to top button