নিউজ

বিশেষ: রক্ত দিয়ে একাই বাঁচিয়েছেন ২০ লাখ শিশুর প্রাণ, রক্তদান করেই করলেন বিশ্ব রেকর্ড

রক্তদান একটি মহান ধারণা। রক্তদান করলে যেমন কারো জীবন বাঁচানো যায়, তেমনি রক্তদান করলে নিজের শরীরেরও উপকার হয়। আর তাই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং নিঃস্বার্থ দান হল রক্তদান।

যাইহোক, সবাই রক্তদানের গুরুত্ব বোঝে না। আর যে এটা বুঝবে বা বুঝবে সে রক্ত ​​দেবে। উদাহরণস্বরূপ, 84 বছর বয়সী জেমস হ্যারিসন রক্তদান করে পুরো বিশ্বের জন্য একটি উদাহরণ তৈরি করেছেন। তিনিই একমাত্র যিনি যতবার সম্ভব রক্ত ​​দিয়েছেন। রক্তদানে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন তিনি। তার নাম গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে “দ্য ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন আর্ম” হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়েছিল।

5, 10, 20, 30, 40 বা 50 বছর বয়সী নয়; 57 বছর ধরে প্রতি সপ্তাহে রক্ত ​​দান করেন এই ব্যক্তি। আপনি জেনে অবাক হবেন যে রক্তদান করে হ্যারিসন ২ মিলিয়ন শিশুর জীবনও বাঁচিয়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রসের মতে, তিনি 2.4 মিলিয়নেরও বেশি অস্ট্রেলিয়ান শিশুর জীবন বাঁচাতে সাহায্য করেছেন।

হ্যারিসনের রক্তে রোগ-প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি রয়েছে যা অ্যান্টি-ডি নামক একটি ইনজেকশন তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। রক্তে একটি অ্যান্টিবডি উপাদান যা আরএইচ রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

এই রোগের কার্যকারক এজেন্ট গর্ভবতী মহিলার সন্তানের রক্তে প্রবেশ করে এবং কোষগুলিকে আক্রমণ করতে শুরু করে। এতে মস্তিষ্কের ক্ষতি বা অনাগত শিশুর মৃত্যু হতে পারে।

হ্যারিসন 27 ডিসেম্বর, 1936 সালে অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বয়স যখন 14; এরপর থেকে তিনি রক্তদানে আসক্ত। এরপর তার স্তনের বড় অস্ত্রোপচার করা হয়।

হ্যারিসন অন্য কারো রক্তে সুস্থ হয়েছিল। তাই তিনি রক্তদাতা হওয়ার শপথ নেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি নিয়মিত রক্ত ​​দিতে শুরু করেন।

কয়েক বছর পরে, ডাক্তাররা নির্ধারণ করেছিলেন যে হ্যারিসনের রক্তে অ্যান্টিবডি রয়েছে। যা অ্যান্টি-ডি ইনজেকশন তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তারপর থেকে, হ্যারিসনের রক্ত ​​ডাক্তারদের কাছে আরও মূল্যবান হয়ে ওঠে।

অস্ট্রেলিয়ান রেড ক্রস ব্লাড সার্ভিস অনুসারে অস্ট্রেলিয়ায় 50 জনেরও কম মানুষের রক্তে এই ধরনের অ্যান্টিবডি রয়েছে। এই রক্তের প্রতিটি ব্যাগ অত্যন্ত মূল্যবান। অস্ট্রেলিয়ার 17 শতাংশেরও বেশি গর্ভবতী মহিলাদের Rh রোগ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

Back to top button