নিউজ

OMG! ৩০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি ছেড়ে, প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন ধনকুবেরের কন্যা

প্রেমের টানে বিলাসবহুল জীবনকে ছুড়ে ফেলে প্রেমিকের হাত ধরছে ধনী বাবার কন্যা। প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধতে বিপুল সম্পদের উত্তরাধিকারী হওয়ার সুযোগ পায়ে ঠেলেছে। এ যেন বলিউডি সিনেমার গল্প। তবে বাস্তবেই এমনটা হয়েছে।
বছর পনেরো আগে মালয়েশিয়ার ধনকুবের খু কায় পেংয়ের মেয়ে অ্যাঞ্জেলিন খু প্রেমিক জেডিডেহ ফ্রান্সিসের জন্য পারিবারিক সম্পত্তিকে না বলেছিলেন। খু’র পারিবারিক সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ কোটি ডলার অর্থাৎ টাকার অঙ্কে ৩ হাজার কোটিরও বেশি।

সম্প্রতি দেশ-বিদেশের নানা সংবাদমাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে অ্যাঞ্জেলিনের সেই কাহিনি। বিয়ের পর জীবনসঙ্গীর পদবিকে নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে হয়েছেন অ্যাঞ্জেলিন ফ্রান্সিস খু।

২০১৫ সালে মালয়েশিয়ার প্রথম ৫০ জন ধনকুবেরের তালিকায় অন্যতম ছিলেন অ্যাঞ্জেলিনের বাবা পেং। তার পূর্বপুরুষেরা চীন থেকে সে দেশে বসতি গড়েছিলেন। মালয়েশিয়ায় একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে ব্রিটেনের একটি নামজাদা ফ্যাশন, ফার্নিশিং এবং টেক্সটাইল ডিজাইন সংস্থায় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সামলেছেন পেং।

এমইউআই গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা পেংয়ের সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ কোটি ডলারেরও বেশি। ২০১৮ সালে বড় ছেলের হাতে ব্যবসার দায়িত্ব ছেড়ে অবসর নেন তিনি।

ধনকুবের কন্যা অ্যাঞ্জেলিনের প্রেমকাহিনিও অনেকটা সিনেমার গল্পের মতো। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় ক্যারিবীয় সহপাঠী জেডিডেহ ফ্রান্সিসের সঙ্গে আলাপ ও ঘনিষ্ঠতা। তবে তাদের বিয়েতে রাজি ছিলেন না বাবা পেং। বাবার অমতেই বিয়ে করেন অ্যাঞ্জেলিন। ফলে বিপুল সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হতে হয়।

সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল’কে এক সাক্ষাৎকারে অ্যাঞ্জেলিন বলেন, ‘আমার সিদ্ধান্ত নিতে একদমই বেগ পেতে হয়নি। আমাদের বিয়ে নিয়ে বাবার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে মনে করি।’

বিপুল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হওয়ার সুযোগ হারিয়ে আফসোস হয় কিনা, জানতে চাইলে অ্যাঞ্জেলিন বলেন, ‘সম্পত্তি থাকা এক অর্থে আশীর্বাদ। তবে অনেক অশান্তিও এই অর্থের জন্য। আমি ভাগ্যবান যে আমার এসবে লোভ নেই।’

৩৪ বছরের অ্যাঞ্জেলিন পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার। অন্যদিকে, ডেটা সায়েন্টিস্ট হিসাবে কাজ করেন জেডিডেহ। ২০০৮ সালে বিয়ের পর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টানতে হয় অ্যাঞ্জেলিনকে।

Back to top button