নিউজ

নদীপথে পাচারে বেতাজ বাদশা শাহজাহান, কিভাবে গড়লেন তার ‘বিশাল সাম্রাজ্য’?

সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শেখ শাহজাহানের উত্থান এক দীর্ঘ এবং বিতর্কিত ইতিহাসের। তার উত্থানের পেছনে রয়েছে পাচার, তোলাবাজি, মাদক কারবার, এবং রাজনীতির জটিল সমীকরণ।

পাচারের হাতেখড়ি

দুই দশক আগে, হিরে থেকে জিরে সবই পাচার হতো বাংলাদেশে। বিএসএফ-এর নজরদারি ফাঁকি দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া টপকে পাচার করাটাই তখন ছিল দস্তুর। সেখানে প্রতিযোগিতাও বেশি। ফলে তরুণ শাহজাহান সুচতুর ভাবেই বেছে নিয়েছিলেন নদী পথ। কারণ, নদী পথে পাহারা-নজরদারি ছিল অনেক ঢিলেঢালা।

স্থানীয় লোকেরা বলেন, বাংলাদেশের চোরাই পোশাক চোরাপথে ঢুকে পড়ত এপারে। সেই পোশাক বাজার মূল্যের থেকে অনেক কম দামে চলে যেত পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে। পোশাকের মধ্যে নাকি পাচার হতো মাদকও। সেই কারবারেই ফুলেফেঁপে ওঠার শুরু শাহজাহানের।

তোলাবাজি ও ভেড়ির দখলদারি

পাচারের পাশাপাশি, শাহজাহান এলাকায় তোলাবাজি ও ভেড়ির দখলদারি শুরু করেন। তার প্রভাব এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে, এলাকার মানুষ তাকে “বেতাজ বাদশা” বলে ডাকত।

রাজনীতিতে প্রবেশ

২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে। শাহজাহান তৎকালীন তৃণমূল নেতা হাজী নুরুল ইসলামের হাত ধরে দলে যোগ দেন। তার রাজনৈতিক যোগ্যতা এবং এলাকার মানুষের সমর্থন তাকে দ্রুত দলের মধ্যে উন্নীত হতে সাহায্য করে।

২০১৬ সালে, শাহজাহান সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচিত হন। তার ক্ষমতা আরও বেড়ে যায়।

বিতর্কিত কর্মকাণ্ড

শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৭ সালে, তিনি একই সঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন করার অভিযোগে অভিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে, তিনি ইডি-র তদন্তের বিরুদ্ধে তার কর্মীদের দিয়ে হামলা করান।

শাহজাহানের ভবিষ্যৎ

শাহজাহানের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। তাকে ইডি-র তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ। এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

Back to top button