টাকা পাচার রোধে ছাত্ররাই তৈরি করল যান্ত্রিক কৌশল, বড় পদক্ষেপ নিলো কেন্দ্র সরকার
পশ্চিমবঙ্গে ইডি-সিবিআই তদন্তের পাহাড় জমেছে। এই তদন্তের কাজে ছাত্রদের প্রযুক্তিগত সহায়তা পেতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই লক্ষ্যে কেন্দ্রের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ‘কবচ ২০২৩’ নামে একটি হ্যাকাথন। এই হ্যাকাথনে দেশের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন।
আয়োজক ছিল অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল এডুকেশন, ব্যুরো অফ পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার। প্রতিযোগীদের কাছে অন্তত ২০টি সমস্যার কথা তুলে ধরা হয়। যার মধ্যে ছিল ফান্ড ট্রেইল অ্যানালিসিস টুল। এই টুল এমন ভাবে তৈরি করতে হবে যাতে অর্থনৈতিক তদন্তকারীরা সহজে দিস্তে দিস্তে ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, ফান্ড ট্রান্সফারের মধ্যে থেকে মানি ট্রেইল ধরতে পারেন।
ইতিমধ্যেই পাঁচটি কলেজের পড়ুয়াদের মডেলকে জমা রাখা হয়েছে। তার মধ্যে চারটি কলেজই মহারাষ্ট্রের। একটি কর্ণাটকের। তবে শুধুই মানি ট্রেইল ধরা নয়। বেশ কিছু সমস্যা সমাধানের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল পড়ুয়াদের। যেমন, ক্রিপ্টো কারেন্সির দুর্নীতি, ডার্ক ওয়েবের উপর নজরদারি, মহিলাদের নিরাপত্তার উপর এমারজেন্সি অ্যাপ তৈরির মতো বিষয়।
ফাইনালিস্টদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি সিসিটিভির মাধ্যমে অপরাধ ঠেকানোর টুল তৈরি করে। রাজ্যের নেতাজি সুভাষ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে সাইবার ক্রাইম ঠেকাতে একটি টুল তৈরি করা হয়েছিল। সেটাও ফাইনালে জায়গা করে নেয়। তবে চূড়ান্ত পর্বে উইনারদের মধ্যে অবশ্য শুধু টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটিটিরই নাম রয়েছে।
নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্নীতি দমন
এই হ্যাকাথনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্নীতি দমন করার লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রযুক্তির সাহায্যে অর্থনৈতিক তদন্তকারীরা সহজেই মানি ট্রেইল খুঁজে বের করতে পারবেন। এতে দুর্নীতির খবর ধরা সহজ হবে এবং দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দেওয়া সম্ভব হবে।
এছাড়াও, এই হ্যাকাথনের মাধ্যমে ছাত্ররা প্রযুক্তির মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগী হচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক।