উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে তুমুল তর্ক, রাজ্যসভায় সাসপেন্ড ডেরেক ও’ব্রায়েন
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে অসংসদীয় আচরণের জন্য সাসপেন্ড করেছেন। মণিপুর ইস্যুতে তুমুল উত্তেজনার মাঝেই দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। ধনখড় ও’ব্রায়েনকে বারবার থামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তিনি থামেননি। শেষ পর্যন্ত ধনখড় ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন।
মণিপুরের রাজ্যপাল লা গঞ্জুমনের মন্তব্য নিয়ে তৃণমূল সাংসদরা বিক্ষোভ করছিলেন। তাঁরা রাজ্যপালকে অপসারণের দাবি জানিয়েছিলেন। এই দাবিতে যোগ দিয়েছিলেন ডেরেকও। তিনি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জগদীপ ধনখড় ডেরেককে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু ডেরেক সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। এরপরই তাঁকে রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়।
ডেরেককে সাসপেন্ড করায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষুব্ধ। তারা এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল বলে দাবি করেছে। তারা ডেরেককে অবিলম্বে পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছে।
এই ঘটনায় রাজ্যসভার কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। বিরোধীরা রাজ্যপালের অপসারণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তারা জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে, রাজ্যপাল লা গঞ্জুমন তাঁর মন্তব্য নিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, তিনি মণিপুরের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি কোনওভাবেই তাদের অপমান করতে চাননি।
মণিপুর ইস্যুতে রাজ্যসভায় উত্তেজনা চলছে। এই উত্তেজনা কবে থামবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে চলতি বাদল অধিবেশনের বাকি দিনগুলির জন্য। এর মানে হল যে তিনি সংসদে উপস্থিত থাকতে পারবেন না এবং ভোট দিতে পারবেন না।
ও’ব্রায়েন সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেছেন যে তিনি অসংসদীয় কিছু বলেননি এবং তিনি সাসপেন্ড হওয়ার জন্য ন্যায্যতা খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি জানিয়েছেন যে তিনি এ বিষয়ে আদালতে যাবেন।