প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার উপায় কি আছে। কারণ যেটা হওয়ার সেটা তো হবেই। মুম্বাই ভেসে যাচ্ছে বর্ষায়।বিভিন্ন জায়গায় জারি হয়েছে সতর্কতা। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে জলে। প্লাবিত চারিদিক। শুধু তাই নয় রাস্তার ধরে দাঁড়ানো গাড়িগুলি জলের তলায় চলে গেছে। এমতাবস্থায় বোরিভলি এলাকার জলপ্লাবিত রাস্তায় দেখা গেল একটি হরিণকে সাঁতার কাটতে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই তা প্রকাশ পেয়েছে।
বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে রোজ কতকিছুই না ঘটে যাচ্ছে। প্রতিদিনই কতকিছুই না ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। পাশাপাশি বহু প্রতিভা উঠে আসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে। হাতে একটা মুঠোফোন থাকলেই দুনিয়া যেন হাতের মুঠোয় চলে আসে।সোশ্যাল মিডিয়ায় হরিণের সাঁতার কাটার ভিডিও ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের একাংশ বলছেন, সম্ভবত নিকটবর্তী ‘সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্ক’ জলপ্লাবিত হয়ে পড়ায় সেখান থেকেই হরিণটি জলে ভেসে এসেছে। স্মিতা নামের একজন জনৈক নেটনাগরিক জানিয়েছেন, হরিণটি সাঁতার কাটতে কাটতে তাঁর বাড়ির সামনে এসেছিল। হরিণটি যথেষ্ট ভীত ছিল। তিনি ভিডিও করেছেন এতেই নেটনাগরিকরা তাকে নানান কথা শুনিয়েছেন। তাদের কথায় তিনি হরিণটিকে বাঁচাতে পারতেন। অভিনেত্রী রবীনা ট্যান্ডন হরিণটির রক্ষার জন্য প্রার্থনা করেছেন।
পাশাপাশি এই হরিণটির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানারকম জল্পনা শুরু হয়েছে। অপরদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেখা দিয়েছে অমানবিকতা। নেট নাগরিকরা সলমন খানকে নিয়ে মজা করতে শুরু করে দিয়েছেন । তাঁরা বলছেন, সলমান খানের বাড়ির কাছে যেন হরিণটি না যায়। অনেকে বলছেন, সলমান চলে আসবেন, হরিণটি যেন পালিয়ে যায়। হরিণটি বিপদে পরেও সকলের মজার পাত্র হয়ে উঠেছেন। বর্ষার সময় যেহেতু মুম্বই জলপ্লাবিত হয়ে যায়, সেহেতু সঞ্জয় গান্ধী ন্যাশনাল পার্কের প্রাণীদের জন্য সঠিক ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা উচিত। কিন্তু অবলা প্রাণীটিকে নিয়ে এভাবে ঠাট্টা করা তো উচিত নয়। এটা তো শিক্ষার পরিচয় নয়।
View this post on Instagram
