‘শাহজাহানের সাথে জঙ্গি যোগ’, এখনই গ্রেফতার করতে হবে TMC নেতাকে, রাজ্যপাল দিলেন নির্দেশ
সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তদন্ত শুরু করে। শুক্রবার সকালে ইডির গোয়েন্দারা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তার অনুগামীদের হাতে আক্রান্ত হন। এতে ইডির গোয়েন্দাদের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও সংবাদকর্মীরা আহত হন। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়।
শাহজাহানকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
শাহজাহানের বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগও রয়েছে। এমনকি বলা হচ্ছে, তিনি সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পালিয়ে গেছেন।
শনিবার শাহজাহানের একটি অডিয়োবার্তা প্রকাশিত হয়। এই অডিয়োবার্তায় তিনি বলেন, “একদিন সকলেরই মৃত্যু হবে, তাই ভয় পাওয়ার কিছু নেই।” তিনি আরও বলেন, “সিবিআই এবং ইডিকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। এটা একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”
ইডির অনুমান, শাহজাহান বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তবে এখনও পর্যন্ত তার কোনও সঠিক অবস্থান জানা যায়নি।
এই ঘটনার রাজনৈতিক প্রভাব
এই ঘটনার রাজনৈতিক প্রভাবও বেশ ব্যাপক। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আরও জোরালো হয়েছে।
এই ঘটনার পর বিরোধী দলগুলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে। তারা বলছে, তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আইনের উর্ধ্বে নন।
এই ঘটনায় তৃণমূলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের কারণে দলের জনপ্রিয়তাও হ্রাস পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
শাহজাহানের ভবিষ্যৎ
শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাকে দীর্ঘ কারাদণ্ড হতে পারে।
শাহজাহান যদি বাংলাদেশে পালিয়ে থাকেন, তাহলে তাকে গ্রেফতার করা কঠিন হবে। তবে যদি তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনের আওতায় বিচার হবে।
এই ঘটনায় শাহজাহানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।