আন্তর্জাতিক

সাবধান! ‘নতুন’ অমিক্রবন ভ্যারিয়েন্ট আরও বেশি সংক্রামক, সতর্ক করলো WHO

বিশেষজ্ঞদের মনে ফের বাড়ছে অমিক্রনের সংক্রামণের গতি নিয়ে। অমিক্রনের সাম্প্রতিক টম রূপ যেন দ্বিগুন করে তুলছে করোনা সংক্রমণ। বিজ্ঞানীরা দাবি করে জানিয়েছে অমিক্রনের এই নতুন রূপটির সংক্রমণ ক্ষমতা আগের তুলনায় আরও বেশি শক্তিশালী।

সেই সাথে আরও বেশি হকার কথা শুনিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থা সংস্থা। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিশ্বের অন্তত ৫৭ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে অমিক্রনের নতুন রূপ। প্রসঙ্গত উল্লেখনীয় দক্ষিণ আফ্রিকায় সবার প্রথম পাওয়া যায় অমিক্রনের সন্ধান।

অমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট কী?

অমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টের বেশ কয়েকটি মিউটেশন রয়েছে যা ভ্যারিয়্যান্টটি কীভাবে আচরণ করে তার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এসব প্রমাণের উপর ভিত্তি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অমিক্রনের ধরণটিকে উদ্বেগের একটি কারণ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। অমিক্রন সম্পর্কে এখনও যথেষ্ট অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। এর সংক্রমণ-ক্ষমতা, তীব্রতা এবং পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি মূল্যায়নের জন্য বেশ কিছু গবেষণা চলছে।

কীভাবে অমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট এর বিকাশ হয়েছিল?

যখন একটি ভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং অসংখ্য সংক্রমণ ঘটায়, তখন ভাইরাসের মিউটেশন বা পরিবর্তনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। একটি ভাইরাস যত বেশি ছড়ায়, ততো বেশি সেটা পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়। অমিক্রনের মতো করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়্যান্টগুলো মনে করিয়ে দেয় যে, কোভিড-১৯ মহামারী এখনও শেষ হয়ে যায়নি। এ কারনে কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণের সুযোগ পাবার সাথে সাথে এটি গ্রহণ করা সবার জন্য অত্যাবশ্যকীয়। এছাড়াও সকলের উচিত শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং ঘরের ভিতরের জায়গাগুলোতে যেন ভালভাবে বায়ু-চলাচল করতে পারে তা নিশ্চিত করা সহ ভাইরাসের বিস্তার রোধে বিদ্যমান নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করা।

ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা যেন সর্বত্র পাওয়া যায় – তা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Back to top button