‘আমাকে একপাশে ডেকে ১৫ তলা থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন’ শারীরিক হেনস্তার শিকার হন চাহাল

আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় শারীরিক হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের সঙ্গে থাকা অবস্থায় একজন খেলোয়াড় তাকে মাতাল অবস্থায় ১৫তলা হোটেলের বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করেন।
গত ৭ এপ্রিল রাজস্থান রয়্যালসের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। ভিডিওতে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে চাহালকে কথা বলতে দেখা যায়। সেখানে চাহাল খেলোয়াড়রা কীভাবে মাঠের বাইরের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে সেই বিষয়টি তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘এটা ২০১৩ সালের কথা। আমি যখন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে ছিলাম। আমাদের বেঙ্গালুরুতে একটি ম্যাচ ছিল এবং এরপর একটি মিলনমেলা হয়েছিল। সেখানে একজন খেলোয়াড় অতিরিক্ত মাতাল ছিলেন। আমি তার নাম নেবো না। তিনি আমাকে একপাশে ডেকে নিয়ে বারান্দা থেকে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন।’
‘আমি উনার ঘাড়ে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরেছিলাম। আমরা ১৫তলায় ছিলাম। আকস্মিকভাবে সেখানে অনেক লোক এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল। আমি প্রায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলাম। তারা আমাকে পানি দিল।’
সেই ঘটনা নিয়ে চাহাল আরও বলেন, ‘তখন আমি উপলব্ধি করেছিলাম যে, আমরা যখন কোথাও যাই তখন আমাদের কতটা দায়িত্বশীল হওয়া দরকার। সেখানে ছোট্ট একটি ভুল হলে আমি নিচে পড়ে যেতাম।’’
এর আগে ২০১১ সালেও শারীরিক হেনস্তার শিকার হন চাহাল। ওই সময় তাকে অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস এবং জেমস ফ্র্যাঙ্কলিন একটি ঘরে বেঁধে রেখে সারারাতের জন্য চলে যান।
বিভীষিকাময় সেই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ভারতীয় লেগ ব্রেক বোলার বলেন, ‘তারা আমার মুখে টেপ মেরে দিয়েছিল এবং পার্টির সময় আমার কথা পুরোপুরি ভুলে গিয়েছিল। তারপর তারা সবাই চলে গিয়েছিল এবং সকালে, কেউ একজন (ঘর) পরিষ্কার করতে এসে আমাকে দেখেছিল। তিনি আরও কয়েকজনকে ডেকে আমার বাঁধন খুলে দেয়। তারা আমাকে প্রশ্ন করেছিল যে, আমি কখন থেকে সেখানে ছিলাম। আমি বলেছিলাম, এখানে সারা রাত ছিলাম। এটা একটি মজার গল্প হয়ে উঠেছে।’
এমন কাণ্ড ঘটানোর পর সাইমন্ডস এবং ফ্র্যাঙ্কলিন ক্ষমা চেয়েছিলেন কি না- জানতে চাইলে চাহাল হেসে বলেন, ‘না। তারা বলেছিল যে, আপনি যখন এত জুস পান করেন তখন আপনার সকালে কিছু মনে থাকে না।’
তবে সময়ের পথ পরিক্রমায় সাইমন্ডের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলেও জানান চাহাল। তারা দুইজন এখন ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে উঠেছেন এবং ঘনঘন মেসেজ আদান-প্রদান করেন।