অফবিট

লকডাউনে আটকে পড়েছিলেন বিদেশি অতিথি, ফিরে যাওয়ার সময় কান্নায় ভেঙেপড়লো সব গ্রামবাসী

দেশে করোনা তখন সেভাবে তার প্রভাব বিস্তার করেনি। সবকিছুই ছিল স্বাভাবিক। আর সেই সময়েই ভারতে ঘুরতে আসেন স্প্যানিশ যুবক। তারপর হঠাৎ করেই শুরু হয় লকডাউন।বন্ধ হয়ে যায় সবকিছু। তারপর ধীরে ধীরে আনলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবকিছু খোলা শুরু হলেও বন্ধ ছিল আন্তর্জাতিক উড়ান। তাই বাধ্য হয়েই সেই যুবক ছিলেন গ্রামের একজন মানুষ হয়ে। তার সাথে ভাষার সমস্যা থাকলেও তাকে আপন করে নিয়েছিল সেই গ্রামের সকলেই। আর এবার সেই অতিথি ফিরে যাওয়ার সময় কেঁদে ফেললেন গ্রামের অনেক মানুষ।

সাত দিনের জন্য স্পেনের যুবক ম্যানুয়েল আরিবাস রডরিগেস আসামের এক গ্রামে ঘুরতে এসেছিলেন। আর এসেই বাধে বিপত্তি ভারত সরকারের ডাকা লকডাউনে আটকে পড়েন সেই যুবক সেই গ্রামেই। আর ৬ মাস পর ম্যানুয়েল যখন সেই স্প্যানিশ যুবক বাড়ি ফেরার গাড়ি ধরার জন্য গ্রাম থেকে বের হলেন তখন যেন মনে হলো সে বিদেশী নয় ওই গ্রামেরই কোনো যুবক। তাইতো তাকে বিদায় জানাতে গিয়ে চোখ টলমল হয়ে উঠেছে গোটা গ্রামের। সে বেড়াতে এসেছিলো আসামের শিব সাগরের বকতা বকতিয়াল গ্রামে।

গ্রামে সেই যুবক ছিলেন সবসময় হাসিখুশি। কখনো তিনি হয়ে উঠেছিলেন শিশুদের শিক্ষক আবার কখনো হয়ে উঠেছিলেন গিটারিস্ট। আবার কখনো সকলে মাইল মাঠে করেছেন সবজি চাষ।

জানাগেছে স্পেন থেকে তিনি বেরিয়ে পড়েন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘোড়ার জন্য প্রথমে তিনি যান জাপানে। সেখান থেকে কোরিয়া, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, তাইল্যান্ড, মায়ানমার হয়ে ভারতে প্রথমে পা রাখেন মনিপুর রাজ্যে। সেখান থেকেই তিনি চলে আসেন আসামে। আসামের এক যুব উৎসবে বিশ্বজিৎ বড়ুয়া নামের এক যুবকের সাথে তার আলাপ ও বন্ধুত্ব হয়। এরপর সেই বিশ্বজিৎ বড়ুয়ার বাড়িতে ৭ দিনের জন্য বেড়াতে আসেন ম্যানুয়েল আর তখনি বাধে বিপত্তিও শুরু হয়ে যায় লকডাউন। বিদায় বেলায় তাই ম্যানুয়েল -ও যাচ্ছেন মন ভাঙা অবস্থা নিয়ে কারণ এই ৬ মাসে গ্রামের সকলেই তাকে নিয়েছিল আপন করে।

Back to top button