বিশেষ: সপ্তাহে মাত্র দু’দিন পড়াশোনা করেই UPSC-তে 11 তম র্যাঙ্ক, দেবযানীর সাফল্যের রহস্য কী ?
ভারতের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা হল সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা। প্রতিবছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য দীর্ঘ ও কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। কিন্তু চাকরিজীবীদের জন্য এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া আরও কঠিন হয়ে যায়।
হরিয়ানার বাসিন্দা দেবযানী সিং একজন ব্যতিক্রমী উদাহরণ। তিনি চাকরি ও সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতির মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করে সাফল্য অর্জন করেছেন।
দেবযানী প্রথমবার ২০১৫ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। পরের দুই বছরও তিনি ব্যর্থ হন। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। ২০১৮ সালে তিনি চতুর্থবারের মতো পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং সাফল্য অর্জন করেন।
দেবযানী সিং চণ্ডীগড়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চণ্ডীগড় থেকেই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি পাস করেন। এরপর তিনি বিআইটিএস পিলানির গোয়া ক্যাম্পাস থেকে ইনস্ট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক পাশ করেন। স্নাতক হওয়ার পর থেকেই তিনি সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করেন।
প্রথম তিনবার পরীক্ষা দেওয়ার পরও ব্যর্থ হন দেবযানী। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। চতুর্থবার পরীক্ষায় বসে তিনি 11তম র্যাঙ্ক অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি আয়কর বিভাগের অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার হিসেবে কর্মরত।
দেবযানীর সাফল্যের গল্পটি আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে যে, শুধুমাত্র পড়াশোনাই সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি নয়। নিষ্ঠা, অধ্যাবসায় ও কঠোর পরিশ্রমই পারে আমাদেরকে অসম্ভবকে সম্ভব করতে।
দেবযানীর সাফল্যের রহস্য
দেবযানীর সাফল্যের রহস্য হল তার নিষ্ঠা ও অধ্যাবসায়। তিনি প্রতিদিন ৮-১০ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন। সপ্তাহে মাত্র শনি ও রবিবার পড়াশোনা করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রতিদিন কিছু সময় পড়াশোনার জন্য বরাদ্দ রাখতেন।
দেবযানী শুধুমাত্র বই পড়ার উপরই নির্ভর করেননি। তিনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর নিয়মিত অনুশীলন করতেন। তিনি বিভিন্ন টিপস ও কৌশল শিখতেন যা তাকে পরীক্ষায় ভালো করতে সাহায্য করত।
দেবযানী তার সাফল্যকে তার পরিবার ও বন্ধুদের সমর্থনের জন্য দায়ী করেন। তারা তাকে সবসময় উৎসাহিত করতেন এবং তার স্বপ্ন পূরণের জন্য সাহায্য করতেন।
দেবযানীর অনুপ্রেরণা
দেবযানীর সাফল্যের গল্প আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে যে, আমরা যদি আমাদের লক্ষ্যে নিষ্ঠা ও অধ্যাবসায়ের সাথে লেগে থাকি তাহলে অবশ্যই সফল হব।