বিশেষ: আজ পালিত হচ্ছে ‘মীনা দিবস’, ৯০ এর দশকের বাঙালির নস্টালিজিয়া এই কার্টুন
নব্বই দশকে দেশের জনপ্রিয় অ্যানিমেটেড কার্টুন সিরিজ ছিল ‘মীনা’। এ কার্টুনের সূচনা সঙ্গীত ছিল ‘আমি বাবা-মায়ের শত আদরের মেয়ে, বড় হই সকলের ভালোবাসা নিয়ে..’। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে মীনা কার্টুনের প্রথম পর্ব সম্প্রচার করা হয়। সেই হিসাবে ৩০ পেরিয়ে ৩১ বছরে পা দিচ্ছে মীনা। দীর্ঘ সময়ে বিভিন্ন সামাজিক পরিবর্তন সাধনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে মীনা নামক এ কার্টুন সিরিজ। ‘স্মার্ট বিদ্যালয় আর স্মার্ট শিক্ষা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা’ স্লোগানে আজ শনিবার পালিত হচ্ছে মীনা দিবস।
১৯৯৮ সাল থেকে প্রতিবছর ২৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও ইস্ট-এশিয়ার দেশগুলোতে ‘মীনা দিবস’ পালন করা হয়। তবে এ বছর ২৪ সেপ্টেম্বর রোববার হওয়ায় শ্রেণিকার্যক্রম ও দাফতরিক কাজের বিঘ্ন না ঘটার সুবিধার্থে ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার মীনা দিবস উদ্যাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচি নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে মিরপুর-১৩-এর পিটিআইতে সকাল ১০টায় মূল অনুষ্ঠান হয়।
এছাড়াও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে গল্প বলার আসর, বিশেষ ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে শিশুদের উদ্দেশে প্রেরণামূলক বক্তব্য, পাপেট শো ও মাপেট শো, স্টল প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, যেমন খুশি তেমন সাজো ও মীনাবিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে বিভিন্ন সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি এবং শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক একটি অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ইউনিসেফের সহায়তায় এই কার্টুন ধারাবাহিকটি নির্মিত।
মীনা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ভাষায় নির্মিত একটি জনপ্রিয় টিভি কার্টুন ধারাবাহিক। ১৯৯৩ সালে প্রথম এটি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। কার্টুন ধারাবাহিকের মূল চরিত্র ‘মীনা’ বাংলা ভাষায় নির্মিত কার্টুনগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র। বাংলাসহ ২৯টি ভাষায় মীনা তৈরি হয়েছে। কার্টুনটি প্রচার করা হয় সার্কভুক্ত সাতটি দেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। কার্টুন ছাড়াও কমিক বই ও রেডিও অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়েছে। এর স্রষ্টা বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী মোস্তফা মনোয়ার। এই কার্টুনটির সূচনা সংগীতটি শিশুদের কাছে খুব প্রিয়।