অফবিটনিউজ

বিশেষ: বাঙালির রসনাতৃপ্তিতে সেরা এই মাছ, কী ভাবে জাতীয় মাছের তকমা পেল ইলিশ?

ইলিশকে ‘জলের উজ্জ্বল শস্য’ হিসাবে চিহ্নিত করেন বুদ্ধদেব বসু। আর এই ইলিশকেই বাংলাদেশে জাতীয় মাছ করা হয়েছে। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই ইলিশকে সেই দেশের জাতীয় মাছ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। সেই সময়ে যদিও ইলিশ নিয়ে এত মাতামাতি ছিল না। কিন্তু এই মাছকেই দেশের জাতীয় মাছ হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান। যদিও বঙ্গবন্ধুর প্রিয় মাছের তালিকায় ইলিশ না।

তিনি পছন্দ করতেন পুঁটি, ট্যাংরা, মলা ও পাবদা। কালেভদ্রে ইলিশ খেতেন তিনি। কিন্তু ঠিক কী কারণে ইলিশকে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ করা হয় তার একক কারণ কেউ বলতে পারছেন না।

ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। এটি একটি জনপ্রিয় মাছ যা বাংলাদেশের মানুষ খুব পছন্দ করে। ইলিশকে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ করার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।

প্রথমত, ইলিশ বাংলাদেশের নদী ও সমুদ্রে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি বাংলাদেশের মানুষের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দ্বিতীয়ত, ইলিশের স্বাদ খুবই সুস্বাদু। এটি বিভিন্নভাবে রান্না করা যায় এবং এটি সব বয়সের মানুষের কাছেই জনপ্রিয়। তৃতীয়ত, ইলিশ একটি পুষ্টিকর মাছ। এটিতে প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের একটি ভাল উৎস।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ইলিশকে বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে ইলিশ বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ এবং এটিকে জাতীয় মাছ হিসেবে ঘোষণা করে দেশের মানুষের কাছে এটিকে আরও বেশি জনপ্রিয় করা যেতে পারে।

ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হিসেবে গর্বিত একটি ঐতিহ্য। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য এবং এটি বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

Back to top button