লাইফস্টাইল

ত্বক ও চুলের যত্নে ব্যবহার করুন অলিভ অয়েল, পাবেন অনেক উপকার! জেনেনিন

অলিভ অয়েলের ভূমিকা বহুমাত্রিক। রান্নায় ব্যবহার করে যেমন স্বাস্থ্যের উপকার মেলে তেমনি শীতকালে রূপচর্চায় এর ব্যবহারের জুড়ি নেই। একথাগুলো মোটামুটি সবাই জানেন। কিন্তু যেটা জানেন না সেটা হলো রূপচর্চায় সারাবছরই ব্যবহার করা যায় অলিভ অয়েল।

খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদযন্ত্রের উপকার করে, আবার শীতে রুক্ষ ত্বককে মোলায়েম করে তুলতেও ওস্তাদ অলিভ অয়েল। জলপাইয়ের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ত্বকের ভেতরের স্তরে প্রয়োজনীয় খনিজের জোগান দেয়। এর প্রভাবে ত্বক উজ্জ্বল থাকার পাশাপাশি টোনডও থাকে।

অলিভ অয়েলের প্রতি ফোঁটায় যে স্বাস্থ্যগুণ লুকিয়ে আছে, তাকে কাজে লাগিয়েই প্রতিদিনের রূপচর্চায় আনতে পারেন নতুন কিছু। এবার সেসব জেনে নিন :

* ঠোটের নরম ভাব ধরে রাখতে এবং ঠোট ফাটা রুখতে এক চা চামচ অলিভ অয়েল, কয়েক ফোটা লেবুর রস ও আধা চামচ চিনি মিশিয়ে মিশ্রণ করে নিন। এই মিশ্রণ ঠোটে লাগিয়ে চিনি না গলে যাওয়া পর্যন্ত মাসাজ করুন। দিনে একবার এটি করতে পারলে উপকার পাবেন অনেকটাই।

* রাসায়নিকের ছোঁয়ায় চুলের নানা রকম ক্ষতি হয়। তাই বাজারচলতি কন্ডিশনারে আস্থা না রেখে অলিভ অয়েল দিয়েই সারতে পারেন এই কাজ। আধা কাপ অলিভ অয়েল গরম করে তাতে চায়ের লিকার মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে নিলেই কন্ডিশনারের উপকার পাবেন।

* এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল চার পাঁচ চামচ মিশিয়ে নিন গোসলের জলে। ত্বককে নরম তো রাখবেই, সারাদিনে ঘামও হবে অনেক কম।

* ভুরু তোলার পর বা দাড়ি কামানোর পর ত্বক জ্বালা করলে বা কোন রকম র‌্যাশ বেরুলে এক্ষেত্রে অলিভ অয়েলে ভরসা রাখুন। ভুরু তোলার পর ভুরুর চারপাশে এক ফোটা অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিন। শেভিংয়ের পরে গালে ঘষে নিন অলিভ অয়েল। তাতেই জ্বালাপোড়া দূর।

Back to top button