লাইফস্টাইল

নিরাপদে গাড়ি চালানোর জন্য কি কি করবেন, জেনেনিন বিস্তারিত

অনেক সময় দেখা যায়, শখের বশে ও প্রয়োজন মেটাতে বিলাসবহুল যে ফ্যামিলি কার কিনলেন, তা হয়ে গেল হাতি পোষার মতো। দেখা গেল পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ানো, অফিস যাওয়া আর রাস্তার ঝুট-ঝামেলা থেকে রেহাই পেলেন। কিন্তু একটা গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কিন্তু মোটেও কম না। আবার একটা গাড়ি কিনলে একজন দক্ষ ড্রাইভারও রাখতে হয়। সেখানেও খরচ আছে। তাই অনেকেই গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই ভালো ড্রাইভিং স্কুল থেকে গাড়ি চালানো শিখে নেন। এতে করে খরচ অনেকটাই কমানো সম্ভব। যারা গাড়ি চালানো বা ড্রাইভিং শিখছেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি—

ট্রাফিক আইন মেনে চলুন

দুর্ঘটনা এড়াতে ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ট্রাফিক আইন মেনে চলা জরুরি। রাস্তায় চলার সময় কোথায় স্পিড ব্রেকার রয়েছে, খেয়াল করে গাড়ির গতি কমাতে হবে। জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর গাড়ি দাঁড় করানো যাবে না। উল্টোপথে গাড়ি নিয়ে যাবেন না বা এমন কোনো স্থানে গাড়ি পার্ক করা যাবে না, যেখানে ‘পার্কিং নিষেধে’র সাইনবোর্ড দেয়া রয়েছে। রাস্তার বিভিন্ন ট্রাফিক নির্দেশনা প্রদানকারী বোর্ডগুলো খেয়াল রাখতে হবে।

জেনে বুঝে গতি বাড়াতে হবে

কখন গাড়ির গতি বাড়াতে হবে ও কখন কমাতে হবে, সেটা বুঝতে হবে। রাস্তায় নামলে অনেক সময়ই দেখা যায় তীব্র বেগে পাশ দিয়েই একটা প্রাইভেট কার চলে গেল। এমন বেগে গাড়ি চালানো চালক ও পথচারী উভয়ের জন্যই মারাত্মক হতে পারে। বিশেষ করে যারা নতুন গাড়ি চালানো শিখছেন, তারা অনেক সময়ই বুঝতে পারেন না কখন গতি বেড়ে যাচ্ছে। তাই চেষ্টা করতে হবে রাস্তার পাশে সাইনবোর্ডে লিখে দেয়া স্পিড লিমিটগুলো অনুসরণ করার। এতে করে গাড়ির জ্বালানি সাশ্রয় হবে ও নিরাপদও থাকা যাবে।

ভেজা ও পিচ্ছিল রাস্তায় সতর্ক থাকুন

যারা প্রথম গাড়ি চালানো শুরু করেছেন, তাদের প্রায় সবার মধ্যেই যে সমস্যা দেখা যায়, তা হলো বৃষ্টির সময় ভেজা ও কাদাযুক্ত রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় গাড়ির ব্রেক করতে ঝামেলায় পড়া। কারণ ভেজা ও পিচ্ছিল রাস্তায় চাকার গ্রিপ পেতে সমস্যা হয়। তাই সাবধান হতে হবে। আর একটু দূর থেকেই ব্রেক কষতে হবে।

মনোযোগ

অনেক সময় বলা হয় যে, গাড়ি চালাতে হয় মস্তিষ্ক দিয়ে। কথাটা একেবারেই সত্য। কারণ আপনি যদি এতটুকুও বেখায়ালি হয়ে পড়েন, তাহলে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন, অযথা ঝুঁকি নেয়া থেকে বিরত থাকুন। রাস্তা যদি সরু বা আঁকাবাঁকা হয়, তাহলে গতি কমিয়ে ড্রাইভ করুন। ভালো ড্রাইভিং শিখে গেলেও এসব স্থানে গতি সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। নয়তো চালক ও গাড়ির উভয়ের ক্ষতিই হতে পারে।

গাড়ি নিয়ে বাইরে বের হওয়ার আগে যা খেয়াল করতে হবে

গাড়ি বাইরে বের করার আগে কিছু বিষয়ে দেখে নিতে হবে। সেগুলো হচ্ছে গাড়ির ইঞ্জিন অয়েল, ব্রেক ও টায়ার ঠিকঠাক আছে কিনা। গাড়ির কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স নিজের সঙ্গেই রাখুন। গাড়ি ঠিক করার যন্ত্রপাতি একটা বাক্সে করে গাড়ির পেছনেই রেখে দিন। পথিমধ্যে কোনো সমস্যা হলে যেন ঝামেলায় পড়তে না হয়।

নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন

যখন গাড়ি চালাবেন, তখন সামনের গাড়ি থেকে অন্তত কয়েক হাত দূরত্ব রেখে চালাবেন। এতে করে সামনের গাড়ি যদি হুট করেও ব্রেক কষে, তাহলেও আপনার গাড়ির ব্যালান্স থাকবে। নয়তো ধাক্কা লেগে যেতে পারে।

ফ্লাইওভার ও মোড় ঘুরতে সাবধান: ফ্লাইওভারে নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালান। তাছাড়া মোড় ঘোরার সময়ও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। অনেকে ওভার টেকিং করেন। এতে করে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

Back to top button