লাইফস্টাইল

OMG! ঘুমের আগে সাতটি কাজ দাম্পত্য জীবন করবে মধুময়! জানুন বিস্তারিত

দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে কে না চায়! তবে একে অপরকে ঠিকভাবে না বোঝা বা সময় না দেয়ার কারণে অনেক সম্পর্কেই তিক্ততা বাড়তে থাকে। তবে সারাদিন সঙ্গীকে কাছে না পেলেও, ঘুমের সময়টি হচ্ছে তাকে কাছে পাওয়ার উত্তম সময়।
তাই দাম্পত্য জীবন সুখের করতে কাজে লাগান এই সময়টিকে। এর জন্য জেনে নিন সাইকোলজিস্টদের সাতটি পরামর্শ , যা আপনাকে সাহায্য করবে সুখী দাম্পত্য জীবন গড়তে। দেরি না করে চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-

> আজকাল সম্পর্কে তিক্ততা আসার বড় একটি কারণ হচ্ছে মোবাইল ফোন। জানেন কি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশি সময় কাটালে আবেগ এবং বন্ধনের জন্য জরুরি হরমোন অক্সিটোসিনের নিঃসরণ কমে যায়। সাইকোথেরাপিস্ট কোরল কেরির পরামর্শ হলো, রাত নয়টার পরপরই আপনার ফোন বন্ধ করে দিন। আর যতটা সম্ভব ফোন হাতের নাগালের বাইরে রাখুন।

> বিছানায় শোয়ার আগেই কাজের চিন্তা মাথা থেকে বাদ দিয়ে দিন। বিছানায় বসে মেইল ঘাটাঘাটি করা বাদ দিয়ে সঙ্গীর সঙ্গে কিছু ভালো সময় ব্যয় করুন। বিছানায় শুয়ে দুজন দুজনকে সময় দিলে, কথা বললে বন্ধন আরো গভীর হয়। সারাদিনের চিন্তা থেকে মুক্ত থাকা যায়। যা মানসিক শান্তিরও কারণ হয়। তবে এসময়ে কাজের কথা, অর্থনৈতিক সমস্যার কথা বা অন্য যেকোনো বিষয় যা আপনার সঙ্গীকে আরো চিন্তায় ফেলে দেবে, এমন কিছু বলা থেকে বিরত থাকুন।

> বিছানায় যাওয়ার সময়টি যেন একই থাকে। একজন আগে বিছানায় গেলেন, আর অন্যজন ব্যস্ততার কারণে পড়ে গেলেন। এমনটা করবেন না। সাইকোলজিস্ট কার্ট স্মিথের মতে, সুখী দম্পতিরা রাতে খাওয়ার পর এক সঙ্গে দাঁত ব্রাশ করেন এবং একই সময়ে ঘুমাতে যান। এই বিষয়টি তাদের দাম্পত্য জীবনের বন্ধনকে দৃঢ় করে এবং তাদের ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়।

> চেষ্টা করুন একটি নির্দিষ্ট রুটিন মেনে চলার। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস আপনাকে অনেক সমস্যার হাত থেকে রেহাই দেবে। এর ফলে ঘুমের অসুবিধাও দূর হবে। রুটিন অনুযায়ী চললে যখন সময় হবে তখন আপনার মস্তিষ্ক ঘুমানোর নির্দেশ পাবে এবং শরীরকে ঘুমের জন্য প্রস্তুত করবে। আপনার সঙ্গীর সঙ্গে গড়ে তোলা এই অভ্যাস সম্পর্কের গভীরতা বাড়াবে। একে অপরের প্রতি বিশ্বাসও বাড়াবে।

> সম্পর্কে একে অন্যার অনুভূতি বোঝা জরুরি। তাই একে সঙ্গীর প্রতি মনোযোগী হোন। সারাদিনের খারাপ সময়গুলো শোয়ার ঘরের দরজার বাইরে রেখে আসুন। সাইকোলজিস্ট রেয়ান হাউইস পরামর্শ দেন, ঘুমানোর আগে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন। এতে সারাদিন নিজের মধ্যে সুখী সুখী ভাব বিরাজ করবে। ফলে আপনার জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

> বিছানায় যাওয়ার আগে মনকে শান্ত করুন। কার্ট স্মিথ মনে করিয়ে দেন যে, বিছানায় যাওয়ার আগে অবশ্যই ঝগড়া করা যাবে না। ঝগড়া কখনো সমাধানের পথ দেখায় না। তার উপর রাগ নিয়ে যখন ঘুমাতে যাবেন তখন আপনার চোখে ঘুম আসবে না এবং পরের দিন খুব বাজে কাটবে। যা আপনাদের সম্পর্কের জন্য মোটেও ভালো হবে না।

> সঙ্গীর সঙ্গে ঘুমানোর সময় চেষ্টা করুন আপনার সন্তানকে আলাদা ঘরে রাখার। সাইকোলজিস্ট মাইকেল ভিনর-ডেভিস এর মতে, আপনার শিশু যদি একা ঘুমাতে ভয় পায়, দুঃস্বপ্ন দেখে তাহলেই কেবল সঙ্গে নিয়ে ঘুমান। আর অন্য সময় শোয়ার ঘরকে নিজেদের করে রাখুন। নিজেদের ভালোবাসা এবং সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য এটুকু ছাড় আপনাকে দিতেই হবে।

Back to top button