লাইফস্টাইল

পুষ্টি গুণে ভরপুর সুপার ফুড ‘দুধ’ ,জেনেনিন এই পানীয়ের অতুলনীয় উপকারিতা সম্পর্কে

দুধ অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক থেকে বয়স্ক সকলেরই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করা উচিত।
দুধ ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্স হিসাবে বিবেচিত হয়। দুধে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি ওমেগা-৬ সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে।

ভিটামিন এবং মিনারেলের সমৃদ্ধ উৎসের কারণে দুধকে সুপারফুড বলা হয়। এতে শরীরের প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। এটি ভিটামিন বি -12 সমৃদ্ধ, যা মস্তিষ্কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু, এটি রাইবোফ্লাভিনের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উৎস, যা শরীরকে কার্যকরী রাখতে সাহায্য করে। এটিতে ফসফরাস রয়েছে, যা শরীরের টিস্যু এবং কোষগুলির পুনরুদ্ধারের উপর খুব ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

দুধের সব পুষ্টিগুণ

গরুর দুধের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

> গরুর দুধের পুষ্টি উপাদান: দুধের বিভিন্ন উৎস রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আমরা গরুর দুধ পান করি। গরুর দুধ পুষ্টিগুণে ভরপুর, সহজলভ্য এবং সস্তা। গরুর দুধ খাদ্য উৎপাদনে একটি আশীর্বাদ।

> এই গরুর দুধে ছয়টি প্রধান পুষ্টি উপাদানই একত্রে বিদ্যমান। প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। হাড় এবং ক্রমবর্ধমান শিশুদের জন্য অপরিহার্য। হাড়ের কলা মজবুত করতে গরুর দুধের ভূমিকা অনবদ্য।

> ল্যাকটোজ গরুর দুধের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এবং শারীরিক গঠন, বিকাশ এবং মানসিক বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। গরুর দুধে অ্যামিনো অ্যাসিড, বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ যেমন ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, কোবাল্ট, কপার, জিঙ্ক, আয়োডিন এবং সেলেনিয়াম রয়েছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে গরুর দুধ ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

> গরুর দুধে যথাক্রমে 86.5 শতাংশ জল, 4.8 শতাংশ ল্যাকটোজ, 4.5 শতাংশ চর্বি, 3.5 শতাংশ প্রোটিন এবং 0 এবং 7 শতাংশ ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। গরুর দুধ সকল পুষ্টি ও শক্তির উৎস।

সর্বোপরি, দুধ আমাদের শরীরের জন্য পুষ্টির একটি চমৎকার উৎস। সুস্থ থাকতে হলে নিয়মিত দুধ পানের অভ্যাস করতে হবে। তবে কারো যদি গরু বা মহিষের দুধে অ্যালার্জি থাকে বা হজমের সমস্যা থাকে তবে তার পরিবর্তে ছাগলের দুধ খাওয়া উচিত।

Back to top button