লাইফস্টাইল

রাগ কমাবেন যেভাবে! জেনেনিন এক্ষুনি

মনোবিদরা বলেন রাগ খুব স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর অনুভূতি। কিন্তু সেটা তখনই যখন আপনি আপনার রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। অতিরিক্ত রাগ আপনার চারপাশের মানুষের ক্ষতি তো করেই, সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করে আপনার নিজের। চলুন দেখে নেই কীভাবে সামলাবেন আপনার অপ্রতিরোধ্য রাগ

১. রাগ উঠার পূর্বমুহূর্তে অনেকেরই শরীর কেপে উঠতে থাকে অদম্যভাবে। নিজের রাগের লক্ষণগুলো সম্পর্কে অবগত থেকে থাকলে নিজেকে সামলান।

২. অনেক বেশি রাগ উঠলে সবকিছু ভুলে হঠাৎ করেই এক থেকে ১০ পর্যন্ত গুনে ফেলুন, তারপর ১০ থেকে উলটো করে এক পর্যন্ত গুনুন। রাগ থামার আগ পর্যন্ত বিষয়টি পুনরাবৃত্তি করুন।

৩. নাক দিয়ে জোরে শ্বাস টেনে ভেতরে নিন, তারপর আস্তে আস্তে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। দেখবেন মনটা শান্ত হয়ে যাচ্ছে।

৪. শুনতে খাপছাড়া মনে হলেও ব্যায়ামে কমাবে রাগ। নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করলে আপনার স্ট্রেস লেভেল নিয়ন্ত্রণে থাকে। হাটা, দৌড়ানো, সাতার কাটা ও যোগব্যায়াম- এই ব্যায়ামগুলো নিয়মিত করলে রাগ কমে যাবে অনেকাংশেই।

৫. এলকোহল এড়িয়ে চলতে হবে রাগ কমানোর জন্য। সেই সঙ্গে নিয়মিত ঘুমের ও কোনো বিকল্প নেই।

৬. সৃজনশীল কর্মকান্ড যেমন লেখালেখি, সংগীতচর্চা, নাচ, আঁকাআঁকি করা- এই অভ্যাসগুলো রাগ নিয়ন্ত্রণে খুবই সহায়ক। তাই কোনো না কোনো সৃজনশীল কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন।

৭. কাছের কোনও বন্ধুর সঙ্গে নিজের অনুভূতি শেয়ার করুন। আপনার বন্ধু হয়তো আপনাকে ভিন্নভাবে চিন্তা করতে সাহায্য করতে পারে।

৮. রাগ কমানোর সবচেয়ে বড় মুলমন্ত্র হল ভূলে যাওয়া। অতীতের ঝগড়া অথবা রাগারাগির বিষয়গুলো যত তাড়াতাড়ি পারেন ভুলে যান। মনোবিদরা বলেন, তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো ভুলে গেলে মানুষ অনেকদিন বাঁচেও। আর কোনোভাবেই রাগ পুষে রাখা যাবে না।

৯. প্রচন্ড রাগ উঠে গেলো? এরই মাঝে হঠাৎ করে হালকা রসিকতা অথবা কোন অদ্ভুত কোনো মুখভঙ্গি করে পরিবেশটাকে হালকা করে নিন। দেখবেন ধীরে ধীরে রাগ পড়ে যাচ্ছে।

১০. একবার মেজাজ ঠান্ডা হয়ে গেলে এবার আপনি শালীন ভাষায় ও ঠান্ডা মাথায় আপনার রাগ প্রকাশ করুন। তবে উচ্চস্বরে কথা বলবেন না। বুঝিয়ে বলুন কোন কারণে আপনি রেগে আছেন।

১১. একান্তই রাগ কন্ট্রোল করতে না পারলে মনোবিশারদের শরনাপন্ন হোন।

Back to top button