লাইফস্টাইল

শিশুর ডায়াপার র‍্যাশ সারিয়ে তুলুন এই ঘরোয়া উপায়ে

ডায়াপার ব্যবহারের কারণে কোনো কোনো শিশুর একেবারেই সমস্যা হয় না। আবার অনেকেরই র‌্যাশ ওঠে, ত্বক লালচে হয়ে যায়। ডায়াপার র‍্যাশের ফলে শিশুর কোমল ত্বক লালচে আঁশযুক্ত হয়ে পড়ে। অনেক সময় জায়গাটি সামান্য গরম হয়ে থাকে।
কখনো কখনো এই র‍্যাশ শিশুর পেট, থাই পর্যন্তও ছড়িয়ে যায়। আর এই কারণে শিশু কান্না করে। শিশুর কান্না দেখে শিশুর মা ভয় পেয়ে যায়। মা-বাবা চিন্তা করে বাচ্চাকে এতো যত্ন নেয়ার পরও এই সব কেন হয়? আর এ থেকে মুক্তির উপায় কি? চিন্তার কিছু নেই। ঘরোয়া উপায় এই র‍্যাশ দূর করা যায়। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক র‍্যাশ দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে-

ঘরে তৈরি ডায়াপার র‍্যাশ ক্রিম
বাজার চলতি ক্রিম, রাসায়নিক নিয়ে ধন্দ থাকলে ঘরেই বানিয়ে নিন ডায়াপার র‍্যাশ ক্রিম। সমানুপাতে অলিভ অয়েল, শিয়া বাটার আর নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ক্রিম বানিয়ে রেখে দিন ফ্রিজে। প্রতিবার ডায়াপার বদলের সময়ে ফ্রিজ থেকে বের করে, হালকা গরম করে, হাতে ঘষে শিশুর ত্বকে আলতো হাতে প্রয়োগ করুন। ১৫ মিনিট রেখে তবেই ডায়াপার পরান শিশুকে।

নারকেল তেল
ইস্টজনিত ডায়পার র‍্যাশগুলোর উপর নারকেল তেলের প্রয়োগ একটি কার্যকর প্রতিকার হয়ে উঠতে পারে। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে এর অ্যান্টি–ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য যা ইস্টের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে সাহায্য করে।

বুকের দুধ
এই টোটকাটা নতুন করে হয়তো না বললেও চলে। আর কিচ্ছু নয়, স্রেফ বুকের দুধই অনেক সময় মোক্ষম ওষুধের মতো কাজ করে ডায়াপার র‍্যাশের চিকিৎসায়। শিশুর ত্বকের ফুসকুড়ি, লালচে দাগগুলোয় কয়েক ফোঁটা বুকের দুধ লাগিয়ে দিন। শুকিয়ে গেলে নরম কাপড় বা বেবি ওয়াইপস দিয়ে মুছিয়ে নিন।

দই, বেকিং সোডার প্যাক
আর একটা সহজ উপায়ও আছে। যার রসদ মিলবে আপনার রান্নাঘরেই। শিশুর র‌্যাশের জায়গা পরিষ্কার করে তার উপর এক-দুই টেবিল চামচ টক দই লাগিয়ে দিন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এবার বেকিং সোডার প্রলেপ লাগান ওই জায়গায় এবং এক ঘণ্টা রেখে দিন। সবশেষে জায়গাটা পরিষ্কার করে মুছে অলিভ অয়েল লাগিয়ে দিন। আরাম পাবে শিশু।

বিশুদ্ধ উন্মুক্ত বাতাস
বেশ কয়েক ঘন্টার জন্য আপনার সন্তানের নিতম্বটিকে ডায়পারমুক্ত করে রেখে দেয়াও ইস্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হয়ে উঠতে পারে এবং তার সঙ্গে ফুসকুড়িগুলো শুকিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়ক হয়ে ওঠে।

গরম জলে গোসল
ডায়াপার র‍্যাশের সমস্যা কমাতে কুসুম গরম জলে শিশুর গোসলও খুবই কাজে আসতে পারে। তাছাড়া একটা গামলায় হালকা গরম জল নিয়ে শিশুকে উবু করেও রাখতে পারেন। দিনে তিনবার এমন করলে শিশু অনেকটা স্বস্তিবোধ করবে। ডায়াপার র‍্যাশ থেকে চুলকানি অনেকটাই কমে যাবে।

Back to top button