লাইফস্টাইল

অপেক্ষা শেষে আসছে শীতকাল, যে ৭ টি কারণে শীতকালে বিয়ে করবেন

আর মাত্র কয়েকটা দিন আর তারপরেই গোটা বাংলাতে জাকিয়ে বসবে শীত। আর এই শীত আর বিয়ের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘদিনের একটি মধুর সম্পর্ক। অনেকেই বলে থাকেন বুদ্ধিমানরা শীতকালেই বিয়ে করে থাকেন। আর শীতকাল মানেই হলো বিয়ের মরসুম। আর অনেকের বলা আর বাস্তবের সাথে রয়েছে অনেক তাৎপর্যপূর্ণ যুক্তিও।
দেখে নেওয়া যাক শীতকালে বিয়ে করার সুবিধা গুলো –

পরিশ্রমে সুবিধা: একটা গোটা বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে আয়োজকদের করতে হয় অনেক পরিশ্রম। নিমন্ত্রণ -প্যান্ডেল -খাবারের ব্যবস্থা আরও একাধিক কাজ করতে হয় আয়োজকদের। আর সেই কাজ যদি গরমের দিনে কেউ করে তাহলে অল্পতেই হাফিয়ে যেত অনেক মানুষ কিন্তু শীতকালে এক্ষেত্রে পাওয়া যায় বিশেষ সুবিধা। উল্টে শীতকালে কাজ করলে মানুষ গরম গরম ভাব অনুভব করে নিজের শরীরে।

সাজগোজে করে স্বস্তি: আমাদের গ্রীষ্ম প্রধান দেশে দীর্ঘক্ষণ ধরে মেকাপ মুখে থাকে না। আর গরমের কারণে মেকাপ-ঘামে সৃষ্টি হয় সমস্যার। কিন্তু শীতকালে সেই সমস্যা থাকেনা তাই শুধু বর-কনে নয় বিয়েতে আসা আত্মীয়রাও স্বস্তিতে সাজতে পারে।

বিয়ের ডেকোরেশন: শীতকালে পাওয়া যায় বিভিন্ন রকমের সুন্দর সুন্দর সুগন্ধি যুক্ত ফুল যেমন রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁই তাই এই সময় প্রয়োজন হয়না কোনো কীর্তিম ফুলের তাই স্বল্প খরচে আর খুব সুন্দর ভাবেই সাজানো যায় অনুষ্ঠান বাড়ি।

বিদ্যুৎ বিলে সাশ্রয়: শীতকালে বিয়ের অনুষ্ঠানের আর একটি সুবিধা হলো ফ্যান চালাতে হয়না। আর মানুষের মধ্যে বিয়ের শেষে দ্রুত ঘুমোনোর একটা তাড়া দেখা যায়। তাই সেদিন আয়োজন শেষেই খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায় সব লাইট ও ফ্যান। আর এরফলে বিদ্যুৎ কম খরচ হয়।

মশারি টানার জমেলা নেই : শীতকালে এমনিতেই মশা কম থাকে। আবার অনেকেই শীতকালে লেপ -কথা মুড়ি দিয়ে শোয় তাই মশারি টানানোর কোনো প্রয়োজন পরেনা।

হানিমুনের সুবিধা: বিয়ের পর শীত কালে খুব আরাম করেই বেড়ানো যায়। কারণ সেই সময় থাকেনা কোনো রোডের তাপ নেই কোনো গরমের ক্লান্তি তাই নতুন মানুষের হাত ধরে বিয়ের নতুন স্বাদটা উপভোগ করা যায় একমাত্র শীতেই।

Back to top button