লাইফস্টাইল

কিভাবে প্রচণ্ড টেনশন কমাবেন, জেনেনিন বিস্তারিত

Enter sub title here

অফিসের কাজের চাপ হোক বা সংসারের ঝামেলা, ব্যক্তিগত জীবনে টেনশনের রয়েছে বহু কারণ। আর এই টেনশনের জন্যই হয় উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ। তাই টেনশন দূর করার পরামর্শ প্রায়ই দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কিন্তু আসলে কি টেনশন দূর এতটাই সহজ

তবে যদি চিন্তা করেন তাহলে অতটাও কঠিন নয়। এর জন্য নিজের মনের জোর তো চাই-ই, সঙ্গে দরকার কিছু পদক্ষেপ নেয়া। একটু সচেতন হলে এবং আবেগের পাশাপাশি একটু যুক্তি মেনে চললে টেনশন কাটানো খুব কঠিন কিছু নয়।

কিন্তু কী ভাবে সম্ভব? মনোবিদদের মতে, অতিরিক্ত চাহিদাই অশান্তির কারণ। সে সম্পর্কে হোক কি কাজে। তাই ক্ষমতা অনুযায়ী রাখা প্রয়োজন। তাই কিছু উপায়ও জানতে হবে আপনাকে।

কোনো বিশেষ কিছু নিয়ে টেনশন হলে অস্থির হবেন না। যে কোনো সমস্যার গুরুত্বই সময়ের সঙ্গে কমে। কাজেই এই ঘটনার গুরুত্বও কমবে।

নিজের কাজ করে যান। ফলাফল সব সময় আশানুরূপ নাও হতে পারে। তাই তা নিয়ে ভেঙে না পড়াই ভাল।

অনেক কিছুই আমাদের হাতে নেই। যে কোনো মুহূর্তে যা খুশি ঘটতে পারে। মনকে সে ভাবে তৈরি রাখুন।

সবার সঙ্গে ভাল ব্যবহার করুন। অন্যের দুঃখে দুঃখী হওয়া, অন্যকে সম্মান করা ইত্যাদি অভ্যাস শিখতে পারলে, নিজের চেয়ে অন্যকে বেশি সময় দিলে ব্যক্তিগত টেনশন কম থাকবে।

আদর্শ হিসেবে অন্য মানুষদের চিন্তা করতে পারেন। যার জীবনযাপন, লড়াই করার ক্ষমতা, বিপদ মোকাবেলা আপনাকে শক্তি দেবে।

মানুষের সাথে কিছুটা দূরত্ব রেখে মিশলে অশান্তি কম হয়। যে কারণে অশান্তি হচ্ছে সেই বিষয় এড়িয়ে চলুন।

ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে টেনশন তৈরি হলে তাকে লম্বা হতে দেবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করুন।

ঈর্ষা জাগলে সাবধান হন কারণ টেনশনের জন্য দায়ি এটি। এমন হলে আপনি কি পেয়েছে তার তালিকা তৈরি করুন। আর সামনে আরও কী কী পেতে পারেন ভেবে দেখুন টেনশন চলে যাবে।

কোনো কাজ কষ্ট দিলে ভাবুন তা মেনে নিতেই হবে। যা মানতেই হবে, তার জন্য আগে থেকে ভুল ভেবে কষ্ট পেয়ে কী লাভ?

প্যারানয়েড ব্যক্তিত্বের মানুষ অনেক আছে। যারা অন্যদের ব্যঙ্গ–বিদ্রূপ করে আনন্দ পান। তেমন মানুষকে এড়িয়ে চলুন।

রাগ ভিতরে রেখে দেয়ার অভ্যাস ছাড়তে হবে। কারণ এ ক্ষেত্রেও ক্ষতিটা শেষ পর্যন্ত আপনারই।

Back to top button