অফবিট

বিশেষ: যেসব দেশে খুঁজেই পাওয়া যায়না সাপের অস্তিত্ব, জেনেনিন সেইসব দেশের নাম

খুবই পরিচিত একটি সরীসৃপ প্রজাতির প্রাণী সাপ। যা খুবই বিষাক্ত। সাপের এর কান নেই। জিবের সাহায্যে এরা যেকোনো শব্দ শুনতে পারে। ধারণা করা হয়, এক লাখ বছর আগে ক্রিটেসিয়াস যুগে টিকটিকির কোনো প্রজাতি থেকেই সাপের সৃষ্টি হয়েছিল।

 

সাপ চেনে না এমন মানুষ পাওয়া খুঁজে পাওয়া কঠিন। বিষাক্ত হলেও কিছু কিছু দেশের মানুষ সাপ খুব মজা করে খেয়ে থাকেন। পৃথিবীর প্রায় সব জায়গায়ই সাপ দেখতে পাওয়া যায়। তবে এমন কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে সাপের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া বড়ই দুষ্কর।

সাপ সাধারণত শীতল রক্তের প্রাণী। তাই খুব ঠান্ডা স্থানে এরা থাকতে পারে না। পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন, ঠান্ডা স্থানে কখনোই সাপের জন্ম বা বংশবিস্তার হতে পারে না।

বিজ্ঞান বলছে, প্রায় সাড়ে ছয় লাখ বছর আগে সেনোজয়িক যুগে বরফ অবস্থা থেকে পৃথিবী বর্তমান অবস্থায় আসার জন্য রূপান্তরিত হতে শুরু করলে উত্তর গোলার্ধের বিশাল অঞ্চল তৃণভূমিতে পরিণত হয়। পাঁচ লাখ বছর আগে এই অঞ্চলে অজগরসহ অসংখ্য সাপের উদ্ভব হয়। আর আনুমানিক আড়াই লাখ বছর আগে কোবরাসহ আকারে ছোট অন্য বিষধর সাপের উৎপত্তি হয়।

প্রকৃতিতে এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে কখনোই সাপ থাকতে পারে না। প্রকৃতির নিয়মেই এমনটা ঘটে। পৃথিবীর সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলের পুরোটাই বরফে ঢাকা। এমন স্থানে আপনি কোথাও সাপের দেখা পাবেন না।

জল ও স্থলভাগ অতিমাত্রায় শীতল–এমন দেশে সাপ বসবাস করতে পারে না। এ কারণে আয়ারল্যান্ডে সাপের কোনো অস্তিত্ব নেই। শুধু আয়ারল্যান্ডই নয়; নিউজিল্যান্ড, হাওয়াই, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড অ্যান্টার্কটিকার মতো শীতপ্রধান দেশে সাপ একদমই নেই।

বিজ্ঞানীরা প্রায়ই এসব দেশে সাপ ছেড়ে দেয় পরীক্ষার জন্য। এখনো তারা গবেষণা করছেন–বরফে আচ্ছাদিত এসব দেশে সাপ নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারে কি না?

Back to top button