শাস্ত্রমতে কোন পাপে পরের জন্মে কী হয়ে জন্মাতে হয়? কী বলছে হিন্দু ধর্ম?

বাইবেল সাতটি কাজকে সবথেকে বড় পাপ বলে চিহ্নিত করে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটিই বিভিন্ন প্রকারের ‘লোভ’। তার বাইরে রয়েছে ঈর্ষা, অহঙ্কার ইত্যাদির মতো বিষয়ও। ইসলামে কর্তব্যে অবহেলা, পৌত্তলিকতা, ডাকিনীবিদ্যার অভ্যাস, হত্যা, অন্যের সম্পত্তি আত্মসাৎ করা ইত্যাদিকে চরম পাপ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এবং সেই সংক্রান্ত নরক-গমনের কথাও উল্লিখিত রয়েছে।
ইসলাম বা খ্রিস্টীয় ধর্মবিশ্বাসী ভারতীয়রা সেগুলিতেই বিশ্বাস রাখেন। এবং যেহেতু ইসলাম বা খ্রীস্টধর্মে পরজন্ম নেই, সেহেতু সব ফয়সালাই নরকে। কিন্তু হিন্দু ধর্মে কোন পাপের কী শাস্তি, তা যেমন উল্লিখিত রয়েছে, তেমনই কোন প্রায়শ্চিত্ত করলে কোন পাপ থেকে ইহজগতেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব, তেমন কথাও বলা রয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে এ-ও বলা রয়েছে পরজন্মে কোন পাপের ফলে কী অবস্থায় পতিত হতে হবে।
একনজরে দেখা যাক সেই ‘পাপ’ আর তাদের কর্মফলের তালিকা।
• ব্রহ্মহত্যা: নরকে মেয়াদ খাটার পরে ব্রহ্মহত্যাকারীকে পরজন্মে কুকুর, শুয়োর, গাধা, উট, গরু ইত্যাদি হয়ে জন্মাতে হয়।
• সোনা চুরি: হিন্দু ধর্মে বেশ ঘোরঘট্ট পাপ। পরজন্মে মাকড়সা, কুমির, সাপ হয়ে জন্মাতে হয়।
• গুরুপত্নীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক: পরজন্মে ঘাস হয়ে জন্মাতে হতে পারে। অথবা মাংসাশী পশু।
• অতিরিক্ত মদ্যপান: পোকা হয়ে জন্মগ্রহণ পরজন্মে।
• নিষিদ্ধ খাদ্য ভক্ষণ: কৃমি হয়ে জন্মাতে হবে
• ব্রাহ্মণের সম্পত্তি আত্মসাৎ: পরের জন্মে ব্রহ্মরাক্ষস।
• শস্য চুরি: ইঁদুর হয়ে পরের জন্ম কাটাতে হবে।
• গুপ্তধন আত্মসাৎ করলে পরের জন্মে নির্বংশ।
• বাজে তর্ক করলে পরের জন্মে বিড়াল।
• খাদ্যের অন্যায্য দাম নেন যে ব্যবসায়ী, তিনি পরের জন্মে কচ্ছপ হয়ে জন্মাবেন।







