অফবিট

শিশুদের হাড়ভাঙা প্ররিশ্রমেই তৈরি হয় মেকআপ, উঠে এলো করুন কাহিনী

মেকআপ মানুষকে করে তোলে সুন্দর। মেকআপ ব্যবহার করলে বেড়ে যায় নারী ও পুরুষের সৌন্দর্য। তবে আপনি হয়তো জানেন না এই মেকআপ তৈরির মুলে রয়েছে এক করুন দুঃখ -দুর্দশার চিত্র। আধুনিক মেকাপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মিকা। ত্বকের গিম মেকআপ থেকে শুরু করে হাইলাইট সবধরণের মেকআপেই ব্যবহার করা হয় মিকা। আর এই মিকাকেই বলা হয় আধুনিক মেকাপের একটি চমক সৃষ্টিকারী উপাদান।

আর ভারতের ঝাড়খন্ড থেকেই সংগ্রহ করা হয় পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি মিকা। আর সেখানে মিকা মাইনিং করার জন্য ব্যবহার করা হয় শিশুদের। আর ওই মিকা খনি গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধ ও স্থানীয় মাফিয়াদের নিয়ে পরিচালিত হয়। এই পরিসংখ্যানের হিসেবে অনুযায়ী সেই মাইনিং কেন্দ্রে প্রায় টো হাজার শিশু প্রতিদিন কাজ করে। আর সেই কাজ করতে গিয়ে প্রতিমাসেই প্রায় মৃত্যু ঘটে পাঁচ জন শিশুর। আর কাজ করতে গিয়ে মারাত্বক ভাবে আহত হয় অনেকেই।

বিশ্ববাজারে এই মিকার মূল্য অনেক হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই শিশুদের মজুরি দেওয়া হয় ৫০ টাকারও কম। তবে ওই শিশুরা এটি গরিব যে তাদের দু বেলা খাবার জোটানোর জন্য ওই খনিতে কাজ করার ছাড়া অন্য বিকল্প নেই। যদিও এই ভয়ানক পরিস্থিতে একজন মানুষ দেখাচ্ছেন আশার আলো। ভারতের নোবেলজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী তিনি ওই শিশুদের অভিভাবকদের জন্য নতুন পেশার ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন আর টাসদের শর্ট দিচ্ছেন তাদের শিশুদের যাতে আর কাজ করতে না হয়। শত বাধার সম্মুখীন হওয়ার পরেও তিনি তার উদ্যোগে কিছুটা সফল হয়ে উঠেছেন।

সেখানকার প্রায় ৩হাজার শিশুকে ইতিমধ্যে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে স্কুলে। কারণ একমাত্র শিক্ষায় পারে এদের দারিদ্রের চক্র থেকে মুক্তি দিতে। আর কৈলাশ সত্যার্থীর এই উদ্যোগের জন্য্যই তাকে ২০১৪ সালে দেওয়া হয় নোবেল শান্তি পুরুস্কার। এরকমই পৃথিবীর অধিকাংশ বিলাসী পণ্যের পেছনে রয়েছে এমনি এক করুন কাহিনী যা শুনলে আপনার মন খারাপ হয়ে যেতে বাধ্যই। তাই বিলাসী নয় প্রয়োজনীয় জিনিসের কথা খেয়াল রাখাই ভালো।

Back to top button