নিউজরাজনীতি

ভোটের প্রচারে মাটির মানুষদের সাথে মিশে গিয়ে বুকভরা ভালোবাসা পেলেন সাংসদ-অভিনেতা দেব

এগিয়ে এসেছে ভোট। আর বেশি দেরি নেই। তাই সকলেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে ময়দানে। সাধারণ মানুষ থেকে টেলিভিশনের তারকারা সকলেই। টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা দেব ওরফে দীপক অধিকারী টেলিভিশনের অভিনয়ের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই পা রাখেন রাজনীতিতে। তারপর ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ হয়ে ওঠেন দেব। তার কাজকর্মে খুশি জনতা।

বিধানসভা ভোটের আর বেশি দেরি নেই। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে লড়াই। অনেক প্রার্থীরাই ভোট দাঁড়িয়ে অনেক স্বপ্ন দেখছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি অভিনেতা দেব পশ্চিম মেদিনীপুরের হয়ে ভোট প্রচারে এসে বিজেপি-কে নিশানা নিশানা করলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য একজন সাংসদ সৌগত রায়কে সঙ্গে নিয়ে চন্দ্রকোনা এবং দাঁতনে দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন অভিনেতা দেব।

চারিদিকে চলছে ভোটের প্রচার। সবাই স্বপ্ন দেখছে বাংলাকে সোনার বাংলা গড়ার। কিন্তু মানুষের উন্নয়ন হবে কিভাবে তা নিয়ে কেউ কিছু না বলে সাধারণ মানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম নিচ্ছে। সবার মুখে একটাই কথা, “খেলা হবে”। কিন্তু এই ভোটের পরিবেশে সাংসদ দেবের মুখে অন্য কথা শোনা গেল। তিনি সাধারণ মানুষের ভিড়ে সকলকে সহজ সরল ভাবে একটাই কথা বললেন,”ভালবাসলে মানুষ এমনিই ভোট দেবেন। তিনি আরো বললেন ‘আমার এমন কিছু বলা উচিত নয় যাতে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়৷ কারণ নেতাদের কিছু হয় না৷” এরকমটাই শোনা গেল অভিনেতা দেবের কাছ থেকে।

বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তিন জায়গায় দলীয় প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে যান ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব৷ সেখানে রোড শো-ও করেন তিনি। অভিনেতা দেব রাজনীতিতে থেকে কোনসময় খারাপ কিছু বলেননি। এক সাক্ষাৎকারে দেব জানান,”তাঁর কোনও রাজনৈতিক অ্যামিশান নেই৷ এত কথা বলে মনে হয় না ভোট পাওয়া যায়৷” এদিন ভোট প্রচারের পাশাপাশি অভিনেতা দেব আরও একটি কাজ করেন। এত বছর নিজের বড় মামার বাড়িতে গেলেন অভিনেতা দেব। ভাগ্নেকে দেখে মামা বড় খুশি। মামাবাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে ছিল সাদা ভাত, শাকভাজা, আলুভাজা, উচ্ছেভাজা, পোস্তর বড়া, বেগুনভাজা, পটলভাজা, সোনামুগের ডাল, নবরত্ন, মাটন, চিকেন, রুটি। শেষ পাতে ছিল দই, মিষ্টি, ফ্রুট চাটনি। সবকিছু মিলে পুরো জমে ক্ষির। অনেকদিন দিন পর মামার বাড়িতে মামীর হাতের রান্না তৃপ্তি করতে খেলেন অভিনেতা দেব।

 

 

Back to top button