বিনোদন

“আমি বাইরে রোগা, ভিতরে দারোগা”, নির্বাচনী সভা শুরু করলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী কাঞ্চন

বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজীব ব্যানার্জি ও শুভেন্দু অধিকারীর সাথে দিল্লি উড়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন উত্তর পাড়ার বিদায়ী বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল (Prabir Ghoshal)।। আর এবার সেই প্রবীর ঘোষালকেই নাম না করে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের (TMC)উত্তরপাড়ার প্রার্থী কাঞ্চন মল্লিক। প্রথম নির্বাচনী সভাতে কাঞ্চন মল্লিক হুঙ্কার দিয়ে বলেন “২মের পর তৃণমূল ভবনের সামনে কান ধরে লাইন দেবেন তাঁরাই, যাঁরা বিপদের দিনে দিদির হাত ছেড়ে চলে গিয়েছেন।”

কাঞ্চন মল্লিক আরও বলেন , “আমি সুখের সময়ে এসে দাঁড়াইনি, আমি লড়াইয়ের সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি। কাজেই আমাকে বহিরাগত বলে যাঁরা সন্দেহ প্রকাশ করছেন যে, আমি এলাকার জন্য কী কাজ করতে পারব, তাঁদের উদ্দেশে একটাই কথা বলব, আমি বাইরে রোগা, ভিতরে দারোগা।”

কাঞ্চন মল্লিকের নাম উত্তরপাড়া কেন্দ্রে ঘোষণা হওয়ার পর থেকে তাকে স্থানীয় কিছু নেতা বহিরাগত বলে আক্রমণ করলে তার জবাবে তিনি বলেন ‘ “যেদিন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) উত্তরপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে আমার নাম ঘোষণা করেছেন, সেদিন থেকেই প্রকাশ্যে হোক কিংবা কানাঘুষো, আমার নামের পাশে ‘বহিরাগত’ শব্দটা খুব বেশি করে শুনতে পাচ্ছি। বলার আগে একটু ভাল করে ভেবে দেখুন, এই এলাকার সাংসদ শ্রী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, তাঁর আদিবাস বাঁকুড়ায়। তাঁর নেতৃত্বে আজ হুগলি জেলা শান্তিতে ঘুমোয়। উনি কি বহিরাগত? যাঁরা এখানকার স্থানীয় হয়েও রাজনৈতিক দল-বদলেছেন, সেসব সুখের পাখিরা উড়ে গিয়েছে।”

এরপর তিনি নাম না করেই আক্রমণ করেন বিদায়ী বিধায়ক প্রবীর ঘোষালকে বলেন ““এটা আসলে এখানকার বাসিন্দাদের পূববর্তী অভিজ্ঞতা, আমার আগে যাঁরা এখানে বিধায়ক হিসেবে ছিলেন, তাঁরা এখানে থাকেননি। যখন আমি তৃণমূলে যোগ দিইনি, সেই সময় থেকে দেখেছি, কেউ হাউহাউ করে কেঁদে, কেউ বা আবার দমবন্ধ হয়ে চলে গিয়ে পরের দিনই উনার নামে গালাগালি করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশ থেকে এক এক করে সৈনিকরা সরে গিয়েছে। আমি আদি কালীঘাট নিবাসী হয়ে তাঁর পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।”

সদ্য রাজনীতিতে যোগ দেওয়া টলিউড অভিনেতা আরো বলেন “আমি নিজেকে কী করে বহিরাগত বলি, যেখানে উত্তরপাড়ার মাননীয় সাংসদ কল্যাণবাবু নিজের বাড়ির দরজা খুলে আমাকে এখানে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এটাকেই আত্মীকতা বলে। আর সেটাই আমি উত্তরপাড়ার মানুষদের থেকে পেতে চাই।”

ভাষণের সেসঘের দিকে কাঞ্চন বিজেপিকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি তিনি বলেন “যাঁরা বাংলাকে সাড়াশি আক্রমণ করে জিততে চাইছে, তাঁদের বলি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন মাথা উঁচু করে বাঁচতে জানেন, আবার মাথা নিচু করে শিখতেও জানেন। কাজেই বিপদটা তাঁদেরই যাঁরা শুধু মাথা উঁচু করে বাঁচতে জানেন! মে মাসের ২ তারিখের পর মিলিয়ে নেবেন, তৃণমূল ভবনে আবারও ভিড় হবে। আবারও যাঁরা চলে গিয়েছেন, তাঁরা কান ধরে ফিরে আসতে চাইবেন দলে। সেইদিন আমরা প্রতিবাদ জানাব, যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা আর নয়!”

Back to top button