বিনোদন

“তৃনা দারুন রান্না করে, আর বাসন মাজার কাজ আমার দায়িত্বে এসে পড়ে!” অকপটে স্বীকার করলেন নীল

চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারী সাতপাকে বাধা পড়েছেন নীল ও তৃনা। তবে বিয়ে হয়ে গেলেও কাজের ব্যস্ততায় তারা যেতে পারেননি হানিমুনে। তাদের দুজনেরই ইচ্ছে ছিল যে তারা বিয়ে সারা হলেই হানিমুনে যাবেন বিদেশে। কিন্তু সেই ইচ্ছে আর পূরণ হয়নি । একদিকে ছিল ধারাবাহিকের কাজ অপরদিকে জুড়ে বসে রাজনৌতিক দলের দায়িত্ব।

তবে ব্যস্ততার মাঝেও কিছুটা অবসর খুঁজে নিয়েছিলেন নীল ও তৃনা। তাদের ইনস্টাগ্রামের নতুন ভিডিও জানিয়ে দিলো সেই কথা। দুই তারকা বন্ধুদের সাথে পারি দিয়েছে কলকাতা ছেড়ে সুদূরে। কাজ থেকে ছুটি পেয়েই তারা দুজনই এখন খুশির আনন্দে মশগুল ।বর্তমানে বন্ধ রয়েছে শ্যুটিং। যার ফলে বাড়িতে বসেই দিন কাটছে নীল-তৃনার। বাড়িতে থেকে মেতে উঠছেন আনন্দে।

তবে সম্প্রতি ‘News 18’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৃনা ও তার পরিবার নিয়ে কথা বলেছেন টলিউড অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য। নীল সাংবাদিক পূজা বসুকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, চারিদিকে এত খারাপ অবস্থা৷ পরিস্থিতি একেবারেই ভাল নয়৷ তার মধ্যেই কাটাতে হবে৷ আমি চেষ্টা করছি এই সময়ের মধ্যে ভাল দিকগুলো খুঁজতে৷ বাবা-মা এবং তৃণার সঙ্গেও উপভোগ করছি এই বাড়িতে কাটানো দিনগুলি ৷ নাহলে তো অন্য সময় বাড়ির বাইরেই থাকতে হয়, শ্যুটিংই ব্যস্ত থাকি দিনের বেশি সময়।

“আগের লকডাউনের থেকে এবার কার্যত লকডাউনটা আলাদা৷ বাড়িতে তৃণা রয়েছেন৷ তাই কাজও কি কিছুটা ভাগ হচ্ছ?” উত্তরে নীল জানিয়েছেন, ‘তৃনা অনেকটা সাহায্য করে। যার ফলে কাজ কিছুটা হলেও কমেছে। এখন তো অনেক কিছুই বাড়িতে বসেই অর্ডার করতে পারছি৷ এমনকি বাড়িতে জিনিসও চলে আসছে৷ এমনকি তৃনা দারুন রান্না করে আর তা উপভোগ করছি ‘।

“আপনিও শ্যুট করছেন, তৃণাও৷ তাহলে তো একই বাড়িতেই TRP যুদ্ধ লেগে যাচ্ছে?” উত্তরে নীল একটু মুচকি হেসে জানিয়েছেন, ‘না না তেমন কিছুই না। আসলে আমি আর তৃনা সবসময় দুজন দুজনকে সাহায্য করি। কার কাজ কতটা বেশি ভালো হবে এই নিয়ে উৎসাহ দিয়ে থাকি। তাই আমরা এই নিয়ে লড়াই নয় বরং মিলেমিশেই সবটা উপভোগ করে থাকি’।

“ধারাবাহিকের সকলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য কী ভিডিও কল হয়?” নীল জানিয়েছেন, ‘যারা খুব ঘনিষ্ঠ তাদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা হয়’। “পজিটিভ কথা বলি, কোথাও কী নতুন সংসারে একটু বেশি সময় দিতে পাচ্ছেন? স্ত্রীর সঙ্গেও, যেটা অন্য সময় হত না৷” নীল জানান, একটু বিশেষভাবে কাটানোর চেষ্টা করি ৷ যেমন ধরুন জন্মদিন করে থাকি৷ তেমনই এখন সপ্তাহের বিশেষ একটি দিনে বিভিন্ন পদ রান্না করা হয়, একসঙ্গে সকলে বসে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করি ৷ তৃণা দারুণ রান্না করে, আমার মা-বাবাও তাই৷ আমি রান্না পারি না৷ তাই বাসন মাজার কাজ আমার দায়িত্বে এসে পড়ে! এমনকি তারপর নিয়ম করে একসঙ্গে ভাল ছবি দেখি৷ আর সেদিনই ভেবে রাখি পরের সপ্তাহের কথা৷ ”

“প্রিয় দর্শকদের জন্য বার্তা৷” বর্তমান পরিস্থিতি খুব খারাপ৷ তাই সুষ্ঠ থাকটা খুব জরুরি৷ সবাইকে এটাই বলার চেষ্টা করব৷ আবার আগের মতো সময়ে ফিরে আসবে ৷ ভাল হবে সব কিছু ৷ তাই একটু ধৈর্য ধরতে হবে, আর মনের জোর রাখতে হবে৷”

Back to top button