বিনোদন

“গোপনে নুসরাত যশকে বিয়ে করলেও আমি অবাক হবো না”-নুসরাত প্রসঙ্গে ফের মুখ খুললেন তসলিমা

26 শে অগস্ট পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। কিন্তু এখনও সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে কোনো কথা বলেননি তিনি। অপরদিকে নুসরতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিখ্যাত লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)।তবে এবার নুসরাতের সন্তানের পিতার নাম প্রকাশ্যে আসায় ফের সরব হলেন তসলিমা। তবে এবার নুসরাতের প্রশংসা নয় বরং নুসরাতকে বিভিন্ন বিষয়ে কটাক্ষ করলেন বিতর্কিত ও বিশিষ্ট লেখিকা তসলিমা। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন –

“কলকাতার অভিনেত্রী নুসরাতকে সে যতটা না বিল্পবী তার চেয়ে বেশি ভেবে নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম নুসরাত তার সন্তানকে শুধু নিজের সন্তান হিসেবে পরিচয় দেবে। কার স্পার্ম সে নিয়েছে গর্ভবতী হওয়ার জন্য, সেটা মোটেও উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হবে না। কিন্তু না, নুসরাত আসলে অন্য যে কোনও রমণীর মতোই রমণী। সে সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেছে সন্তানের পিতার নাম। তার সর্বক্ষণের সঙ্গীই সন্তানের পিতা। নিখিলের সঙ্গে ভারতবর্ষে তার বিয়ে রেজিস্ট্র হয়নি, সুতরাং নিখিলকে তার স্বামী না বলার পেছনে যুক্তি আছে। কিন্তু এইযে লুকোচুরি সন্তানের পিতা কে তা জানানোর ব্যাপারে , তার দরকার ছিল না। আমি অবাক হবো না যদি কোনওদিন প্রকাশ হয় যে গোপনে সে যশকে বিয়েও করেছে। তাহলে যে কোনও ট্রাডিশানাল মেয়ের চেয়ে নুসরাতের তফাৎটা কোথায়?
প্রচুর লেখালেখি, প্রচুর স্বাগত জানানো, শুভেচ্ছা জানানো, স্যালুট জানানো — এসব বরং এক্সট্রাঅরডিনারি সাহসী এবং পুরুষতন্ত্রের ছক ভাঙ্গা মেয়েদের জন্য তোলা থাকুক। ট্রাডিশানাল মেয়েদের পেছনে সময় নষ্ট করা, তাদের বাহবা দেওয়া আপাতত স্থগিত থাকুক।”

প্রসঙ্গত নুসরাত যখন সন্তান জন্ম দেন তখন নুসরাতকে শুভেচ্চ্ছা জানিয়ে তাকে সমর্থন করে দীর্ঘ এক বার্তা দিয়েছিলেন তসলিমা। সেই সময় তিনি অভিনেত্রীকে নিয়ে লিখেছিলেন -নুসরতের পুত্রসন্তান কার ঔরসজাত সেটা বড় কথা নয়। বরং তিনি যে বহু সমালোচনার সম্মুখীন হয়েও নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াননি, সেটাই বড় কথা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সিঙ্গল মাদার হওয়া তো আর চারটিখানি কথা নয়। ফেসবুকে কথোপকথনের আঙ্গিকে লেখা লম্বা পোস্টে তসলিমা লিখেছেন, উইশ, দোয়া, আশীর্বাদ, এগুলি সবই কথার সৌন্দর্য। এগুলিতে কিছুই হয় না। নুসরত প্রতিষ্ঠিত মেয়ে। কারো দাসী-বাঁদী নয়। নিজের ইচ্ছার মূল্য দিতে সে জানে। তসলিমার বিশ্বাস, নুসরত নিজের সন্তানকে ভালো মানুষ করবেন।

Back to top button