বিনোদন

সুশান্তকে নিষিদ্ধ ওষুধ প্রেসক্রিপশন, গ্রেফতার হতে পারেন বড় দুই বোন

বলিউডের প্রতিভাবান অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপূত। তার আকস্মিক মৃত্যুতে কেঁপে উঠেছে গোটা বলিউড। সুশান্তের মৃত্যু মামলায় নাম জড়িয়ে মাদক কাঁদে জড়িত থাকার কারণে তার প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীকে যেতে হয় জেলে। তবে এখন রিয়া চক্রবর্তী জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

আর এবার রিয়া চক্রবর্তী জেল থেকে বের হয়েই সুশান্তের দুই দিদির বিরুধ্যে আদালতকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানালেন তিনি। রিয়া চক্রবর্তী নতুন এক অভিযোগ দায়ের করে জানিয়েছেন যে সুশান্তের দুই দিদি জাল প্রেসক্রিপশন বানিয়ে সুশান্তকে নিষিদ্ধ ওষুধ খাইয়েছিলেন। তাই বলিউড অভিনেতার দুই দিদি যেন কোনো অবস্থাতেই রেহাই না পান সেই বিষয়ে আর্জি জানিয়েছেন সুশান্তের প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তী।

সম্প্রতি সুশান্ত ও তার দিদির মধ্যে হওয়া ৮ জুনের হোয়াটস্যাপ -এ হওয়া চ্যাট থেকেই জানা যায় যে সুশান্তের মানসিক অবসাদের বিষয়ে জানতো তার পরিবার। ওই চ্যাটিং এ দেখা যায় সুশান্তকে তিনটি নিষিদ্ধ ওষুধ লিব্রিয়াম, মেক্সিটো এবং লোনাজেপ খেতে বলেছেন তার দিদি। মূলত এই অসুধ গুলো যারা মানসিক অবসাদে ভোগে তাদের জন্যই প্রেস্ক্রাব করেন ডাক্তাররা। কিন্তু এই ওষুধ গুলো সরাসরি কিনতে পাওয়া যায়না। তাই সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা নিজেই একটি প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে দেন ও তিনি মুম্বাইয়ের একজন নামি চিকিৎসকের সাথে সুশান্তের পরিচয় করিয়ে দেবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন ওই চ্যাটে।

তাই এবার সুশান্ত ও তার দিদির মধ্যে হওয়া হোয়াটস্যাপ চ্যাট কে হাতিয়ার করেই রিয়া চক্রবর্তী থানায় দায়ের করেছেন এফআইআর। তিনি ওই এফআইআরে জাল প্রেসক্রিপশন তৈরী করে সুশান্তের জন্য নিষিদ্ধ ওষুধ জোগাড় করে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন সুশান্তের দুই দিদি প্রিয়াঙ্কা ও মীতু -র বিরুধ্যে।

এছাড়া তরুণ কুমার নামের যে চিকিৎসক সুশান্তের মানসিক অবস্থার কথা না জেনেই তার জন্য ওষুধ লিখে দিয়েছিলেন, তার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন রিয়া। তার যুক্তি, ‘মানসিক অবসাদে ভুগছেন যে রোগী, তার মেডিক্যাল হিস্ট্রি না জেনে কী ভাবে ওষুধ লিখে দিলেন ওই চিকিৎসক? চিকিৎসক হিসেবে একবারের জন্যও তার মনে প্রশ্ন জাগল না’?

রিয়া চক্রবর্তীর এই অভিযোগের বিরুধ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনো সুশান্তের পরিবারের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়নি। আর এই তদন্ত এগোবে কিনা তা জানা যাবে আগামী ৪ নভেম্বর আদালতের সিদ্ধান্তের পরেই।

Back to top button