বিনোদন

আসল সত্য যাচাই না করেই ‘খুনি’ তকমা দিয়েছেন শ্রীলেখা, থানায় অভিযোগ জানালেন শশাঙ্ক

সম্প্রতি শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পসাম’ ডেট-এর আয়োজন করেছিলেন। তাঁর শর্ত ছিল, একটি পথ কুকুরছানাকে দত্তক নিলে তিনি দত্তক গ্রহীতার সঙ্গে এক দিন কফি ডেট-এ যাবেন। এরপর শশাঙ্ক ভাভসর (Shashanka Bhavsar) নামে এক রেড ভলান্টিয়ার পশুপ্রেমী দময়ন্তী সেন (Damayanti Sen)-এর কাছ থেকে কুকুরছানাটিকে দত্তক নেন। এরপর শ্রীলেখাও শশাঙ্কের সঙ্গে ‘পসাম’ ডেট-এ গিয়েছিলেন। তারপরেই ঘটনাচক্রে কুকুরছানাটির মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ফেসবুক লাইভে এসে দময়ন্তী বলেন, শশাঙ্ক খুনি এবং তিনি তাঁকে ছাড়বেন না।

শ্রীলেখার কথার ভিত্তিতে দময়ন্তী শশাঙ্ককে কুকুরছানা দত্তক দিলেও তাঁর মনে সন্দেহ ছিল। ফলে তিনি বারবার ফোন করে কুকুরছানার খোঁজ খবর নিতেন। কিন্তু শশাঙ্ক তাঁকে কুকুরছানার পুরানো ভিডিও পাঠিয়ে আশ্বস্ত করতেন। এরপরেই দময়ন্তী শশাঙ্কর বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন, কুকুরছানাটি মারা গিয়েছে। অপরদিকে শ্রীলেখা এই মুহূর্তে জুরিখে রয়েছেন। তাঁর কাছে দুঃসংবাদ পৌঁছালে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ফেসবুকে নেটিজেনদের সঙ্গে বাগ-বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এদিকে শশাঙ্ককে মারধোর করা হয়।

এর মধ্যেই শশাঙ্ক জানিয়েছেন, তিনি কুকুরছানার ঠিকমতো খেয়াল রাখতে পারেননি। সে ঘর থেকে তাঁর অজান্তেই বেরিয়ে গিয়েছিল রাস্তায়। পাড়ার বড় কুকুররা তাকে মেরে ফেলে। শশাঙ্ক নিজেও নিজেকে এই ঘটনায় দোষী মনে করছেন। কিন্তু শশাঙ্ক বলেছেন, দক্ষিণেশ্বরে শশাঙ্কর বাড়িতে দুজন মহিলা ও চারজন পুরুষ চড়াও হয়ে তাঁকে মারধোর শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে রক্ষা করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

শশাঙ্ক বেলঘরিয়া থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আইনজীবীর সঙ্গে বৈঠক করার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে বিস্তারিত জানাবেন তিনি। শশাঙ্ক বলেছেন, কুকুরছানার মৃত্যুতে তিনিও কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু এত মানুষের সামনে তাঁকে মারধোর করার ঘটনা মেনে নিতে না পেরে আইনি পথে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু শ্রীলেখার সঙ্গে ডেটে যাওয়ার জন্য তিনি কুকুরছানা দত্তক নেননি বলে জানিয়েছেন শশাঙ্ক। তিনি শ্রীলেখাকে মানুষ হিসাবে সম্মান করেন।

Back to top button