টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জী। নিজের অভিনয় দিয়েই টলিউডে পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি রাজনীতি জগতেও পা রেখেছিলেন। একটা দুটো নয় তিনটে বিয়ে করে ফেলেছেন তিনি । তৃতীয়বারের মত বিয়ে হয় বডিবিল্ডার রোশন সিংয়ের সাথে। সে বিয়েও বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।সবকিছু মিলিয়ে ছন্নছাড়া হয়ে গেছে অভিনেত্রীর জীবন।এরই মধ্যে অভিনেত্রী শ্রাবন্তীর সম্পর্কে গুঞ্জন ভেসে আসছে যে তিনি ব্যাবসায়ী অভিরূপ নাগের সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন।
এই ব্যাপারে কথা উঠলে অভিনেত্রী জানিয়েছেন যে, তিনি সেপারেটেড। আর এই কথা মাথায় রেখে তিনি কিশোর কুমারের একটি গানের কিছু কথা ধার করে শ্রাবন্তী বলেছিলেন, কুছ তো লোগ কহেঙ্গে। আর ঠিক এর পরবর্তীতে অভিনেত্রীর প্রাক্তন স্বামী রোশন পোস্ট করলেন তাঁর বিতর্কিত ইন্সটাগ্রাম স্টোরি।শ্রাবন্তী লিখেছেন, তাঁকে নিয়ে লোকের সমালোচনায় তাঁর কিছু এসে যায় না। এরপরেই রোশন ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের হাসিমুখ-সহ মাসলসর্বর্স্ব বডির ছবি শেয়ার করে ক্যাপশন দিয়ে লিখেছেন ‘সচ হি তো ক্যাহতে হ্যায় লোগ’ অর্থাৎ লোকজন সত্যি কথাই বলে।
সম্প্রতি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে সার্বন্তিকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্যও নাকি মোটা অংকের টাকা দাবি করতে চলেছেন রোশন।!আর সেই প্রসঙ্গে রোশন জানিয়েছেন সবটাই হলো“বাজে কথা’। সকলে ভাবে, শ্রাবন্তী বড়লোক আমার যেন কোনও টাকাই নেই। এটা একদম ভুল। আমি বিয়েতে ওকে যা গয়না দিয়েছি, সেই বিষয়ে কি সবাই জানে? জানে না।”
রোশন আরও বলেছেন, “যে যা পারছে লিখে যাচ্ছে। আসলে রোশনের নামে কী বলবে শ্রাবন্তী? কী দোষ দেবে? সে সব দিতে না পারায় এ সব রটছে। ও তো পারিশ্রমিক সোজাসুজি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নিতো। আর এক সময় আমি ওর অ্যাকাউন্টের দেখাশোনা করতাম। সে রকম নোংরা মনোবৃত্তি হলে, যা করার আগেই করতাম। আমার এ সব ভাবতেও ঘেন্না করে। আমরা যখন সংসার করেছি বাড়ির সব দায়িত্ব আমার ছিল। আর সেটাই স্বাভাবিক। ও একজন অভিনেত্রী হয়ে তো আর বাজার করতে যাবে না!”
তিনি আরও বলেছেন, “আমিই জোর করে ওকে ফ্ল্যাট কেনাই। ওর টাকাতেই ফ্ল্যাট কেনা হয়। আমি সাজানোর দায়িত্ব নিয়েছিলাম। এক সঙ্গে সংসার করতাম। দরকার পড়লে ওর কাছ থেকে টাকা চাইতাম। সেটাকে কেউ খারাপ ভাবে দেখছে কেন? আমিও তো খরচা করেছি। ভিখারি তো নই!”
তবে তাদের এই সম্পর্কে হতাহত ছন্দপতন কেন হলো ? সেই প্রসঙ্গে রোশন বলেন “যখন শ্রাবন্তীর সঙ্গে প্রেম করতাম, তখন শরীরের প্রচুর যত্ন নিতাম। সংসার শুরু করার পর আমি মোটা হয়ে গিয়েছিলাম। আমি নিজের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলেছিলাম। যে রোশনকে শ্রাবন্তী পছন্দ করেছিল, সেই রোশন আর আমি ছিলাম না। তার জন্য ওর খারাপ লাগছিল হয়ত। তখন আমি পরিবার নিয়েই বেশি ভাবতাম।”
