বিনোদন

অশ্লীল ভিডিও বানানোর কথা জানতেন না শিল্পা, স্বামী রাজ কুন্দ্রার কাজে ভীষণ লজ্জিত অভিনেত্রী ভেঙে পড়েছেন

নানারকম অভিযোগে জর্জরিত রাজ কুন্দ্রাকে গত ১৯ -এ জুলাই গ্রেফতার করা হয়। তার উপরে পর্ন ভিডিও বানিয়ে সেগুলি নানারকম অ্যাপের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রাজ কুন্দ্রাকে গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুলো নিয়ে নানারকম চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ৭০ টি পর্ণ ভিডিও, উদ্ধার হয়েছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যাট, যেখানে স্পষ্ট তার ব্যবসার নাড়ি নক্ষত্র।

অভিনেত্রী শিল্পকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে নানারকম ভাবে। কেন্দ্রীয় সংস্থার নানা প্রশ্নের পাশাপাশি শিল্পার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তিনি কেন ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ইন্ডাস্ট্রি ডিরেক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন? কেনই বা তিনি সংস্থার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক শেষ করেন? কথায় কথায় উঠে আসে নীল ছবির শুটিং নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্তর।তবে এদিন অভিনেত্রীকে শিল্পাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় পর্নোগ্রাফি ভিডিয়ো তৈরির সঙ্গে তাঁর যোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, রাজের অ্যাপ ‘হটশটস’-এর ভিডিয়োগুলি পর্নোগ্রাফিক নয় একটিও। গহনা বশিষ্টের মতো শিল্পাও সেগুলিকে ‘এরোটিক’ ভিডিয়োর তকমা দিয়েছেন। অভিনেত্রী শিল্পার বর্তমান মানসম্মান হারিয়েছে তার স্বামী রাজ কুন্দ্রার জন্য। পরিবারেও পড়ছে এর প্রভাব। জানা যায় যে রাজ ও শিল্পাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তারা দুজনেই নিজেদের মধ্যে বসচায় জড়িয়ে পড়েন।

দিন যতই যাচ্ছে, রাজ কুন্দ্রার পর্নো-কাণ্ডের প্রাসঙ্গিকতা ততই জোরদার হচ্ছে। মুম্বাই পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এবার রাজের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন তারই চার কর্মচারী! অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশের কাজে সহযোগিতা করছেন না রাজ। ফলে মামলা কোন দিকে এগোবে, তার অনেকটা নির্ভর করছে রাজের এই ৪ কর্মচারীর বয়ানের উপর। পর্নো তৈরি এবং এই ব্যবসা চালানোর জন্য রাজ কিভাবে টাকা বিনিয়োগ করতেন, সেই বিষয়ে তদন্ত করছে অপরাধ দমন শাখা। জানা গেছে রাজের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এই চার কর্মচারীকে।

এদিকে ২৪ শে জুলাই রাজের ‘ভিয়ান’ এবং ‘জেএল স্ট্রীম’-এর অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এই লুকানো আলমারিটির খোঁজ মেলে। সেখান থেকে রাজের ব্যবসা এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে। অপরদিকে রাজ দাবি করেছেন, ২০১৯ সালে তিনি হটশটস অ্যাপ বিক্রি করে দিয়েছিলেন।এখন দেখার বিষয়, সাক্ষীদের বয়ানের ভেতর থেকে কোন বার্তা বেরিয়ে আসে। শুধু তাই নয় আর্থিক তছরুপের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট অর্থাৎ ইডি। এদিকে মঙ্গলবার ২৭ শে জুলাই অবধি রাজ কুন্দ্রাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ ছিল। কিন্তু এদিকে পুলিশ চাচ্ছে যে রাজ যেন এতো তাড়াতাড়ি ছাড়া না পায়। শেষ পর্যন্ত তাই হল। তিনি ছাড়া পেলেন না। আরও ১৪ দিন তাঁকে জেল হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Back to top button