বিনোদন

পর্দার পাশাপাশি বাস্তব জীবনেও কম ক্ষ্যাপা নন ‘সাধক বামাক্ষ্যাপা’র অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী

বাংলা ধারাবাহিক বাঙালি দর্শকদের মনে একটি বিশেষ জায়গা দখল করেছে। আর বাংলা ধারাবাহিক মানেই জী বাংলা আর ষ্টার জলসা আর পর্দার দুদিকেই একদিকে রানি রাসমণি ও রামকৃষ্ণ দেবের কাহিনী অপরদিকে সাধক বামাক্ষ্যাপা। একদিকে সৌরভ সাহা যেমন রামকৃষ্ণ চরিত্রে দাপিয়ে অভিনয় করেছেন, তেমন সাধক বামাক্ষ্যাপার চরিত্রে রয়েছে সব্যসাচী চৌধুরী।

একসময় অরিন্দম গঙ্গোপাধ্যায় বাঙালি দর্শকদের মনে ‘সাধক বামাক্ষ্যাপা’ ধারাবাহিকে দর্শকদের নজরে আসেন। এবারে নতুনভাবে বাঙালি দর্শকের মন জয় করছেন সব্যসাচী চৌধুরী। মহাপীঠ তারাপীঠের চিত্রনাট্য লিখেছেন ঋতম ঘোষাল। এবং প্রযোজক সুব্রত রায় ।

সাধক বামাক্ষ্যাপাতে সিদ্ধিলাভের পর বামার জীবনে বদল আসে। রিলের বামার জীবনে কতোটা পরিবর্তন আসে? সম্প্রতি রামপ্রসাদ মাইতির আমন্ত্রণে তারা মায়ের পুজোয় উপস্থিত হন স্বয়ং ‘সাধক বামাখ্যাপা!’ সেখানে নিজের হাতেই মাকে খাইয়ে দেন বামা। পরনে তার লাল টকটকে পাঞ্জাবি। অভিনেতা সব্যসাচীর কথায়, সেই দৃশ্য সামনে দেখে আপ্লুত জুজারশাহ এলাকাবাসী। পুজো শেষ হতেই সেখানে ষষ্টাঙ্গে প্রণাম করে বামার আশীর্বাদ নিয়েছেন তিনি। এই ধারাবাহিকে অভিনয় করে নিজের জীবনেও আমূল পরিবর্তন এসেছে বামার অভিনেতার জীবনে।

এই হিন্দু তান্ত্রিকের জীবন নিয়ে দু চার কথা জানি, যদিও এই সব তথ্য আপনারাও অনুসন্ধান করলে পাবেন ইন্টারনেট মাধ্যমে। বামাক্ষ্যাপা বীরভূম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তারাপীঠে বাস করতেন এবং একজন হিন্দু তান্ত্রিক। তিনি দেবী তারার ভক্ত ছিলেন এবং তিনি দেবী তারাকে “বড় মা” বলে ডাকতেন।তিনি তারাপীঠের প্রধান ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন। ভক্তরা বিশ্বাস করত তার অলৌকিক ক্ষমতা আছে। তিনি কোনো নিয়মকানুন মানতেন না। এমনকি কোনো সময় দেবতাদের থালা থেকেই নৈবেদ্য তুলে নিয়ে খেতেন। (জন্ম ১২ ফাল্গুন ১২৪৪, মৃত্যু ২ শ্রাবণ ১৩১৮ )।

Back to top button