বিনোদন

Health: নিমপাতা তেই মিলবে ৪ টি সমস্যায় বিশেষ উপকার, জেনেনিন ব্যবহারের পদ্ধতি

নিমপাতা প্রতিদিন খেতে পারলে অনেক জটিল কঠিন রোগ থেকে দূরে থাকবেন। সব থেকে ভালো কাজে দেয় যদি সকালে খালি পেটে কয়েকটা পাতা নিয়ে, ভালো করে ধুয়ে চিবিয়ে খেয়ে নেয়া যায়। এছাড়া গরম আঁচে তেল ছাড়া সেঁকে নিয়ে ভাতের সঙ্গেও খেতে পারেন। নিম গাছের ডাল, পাতা-সবই কাজে লাগে। যেমন, নিমের কাঠ খুব শক্ত। নিম কাঠে উইপোকা বাসা বাঁধে না। ফলে কখনও ঘুণ ধরে না।

নিম তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী। নিমপাতা ব্যাকটিরিয়া ও ফাঙ্গাস বিরোধী, নিয়মিত ত্বকে নিমপাতা বাটা লাগালে ত্বকে কোনোরকম ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের সংক্রমণ হয় না। ব্রণর সমস্যাও দূর করে নিমপাতা। পাশাপাশি, ত্বকের উজ্জলতা বাড়াতে নিয়মিত নিমপাতার সঙ্গে কাঁচা হলুদ ভাল করে বেটে মাখুন।

দাঁত ও মাড়ির যে কোনো রকম সংক্রমণ দূরে রাখে নিম পাতা। যে কারণে নিমের মাজন ব্যবহার করা হত আগে। নিমের রস দাঁতের জন্য ভালো। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে আর দাঁতের ফাঁকে জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ রোধ করতে নিম কার্যকরী।

সম্প্রতি একদল সুগারের রোগীর উপর পরীক্ষা করা হয়। প্রতিদিন ১০ গ্রাম নিমপাতার গুঁড়ো দেওয়া হয় এই রোগীদের। টানা ছ’‌মাস ধরে এই পরীক্ষা চালানো হয়। এরপর এই ছ’‌মাসের মধ্যে প্রতি দু’‌মাস অন্তর পরীক্ষা করে দেখা হয় যে কতটা সুগার লেভেল কম থাকছে। সেই নিয়মে প্রথমে দু’‌মাসে, তারপর চার, তারপর ছয় মাসে পরীক্ষা করে দেখা হয়।

দেখা যায় রক্তে শর্করার হার উল্লেখযোগ্য ভাবে ছ’‌মাস বাদে কমে গিয়েছে। যাঁরা নিয়মিত নিমপাতা খেয়েছেন, তাঁদের রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রথম দু’‌মাসে একটু করে ফল দেখা গেলেও, ছ’‌মাস সম্পূর্ণ ফল দেখে অবাক হয়েছেন গবেষকরা। এর পাশাপাশি, চিকিৎসকরা দেখেছেন, সুগারের জন্য যে ইনিসুলিন ব্যবহার করা হয়, তাও ছ’‌মাস পরে অনেকটা কমিয়ে দেওয়া গিয়েছে।

Back to top button